Note

RBI: দু’হাজারের নোট কেন অমিল, জালের দাপটে গোলাপি টাকা কি বাতিলের পথে

গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে বাজারে জাল নোটের পরিমাণ বেড়েছে। এই জাল নোটের বেশির ভাগটাই দু’হাজার টাকার নোট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২১ ১৩:৫৫
Share:

দু’হাজারের দেখা নাই। প্রতীকী ছবি।

সদ্য নোটবাতিলের পাঁচ বছর পূর্ণ হল। কিন্তু সেই সময়ে জন্ম নেওয়া দু’হাজার টাকার নোট গত কয়েক বছরে ক্রমশই কমেছে। এখন আর তার দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না বলা চলে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক আগেই জানিয়েছে, গত দু’বছর ধরে নতুন করে আর গোলাপি নোট ছাপানো হচ্ছে না। এখন জানা গিয়েছে, বাজার থেকে ওই নোট তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়াও জোর কদমে চলছে।

Advertisement

গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে বাজারে জাল নোটের পরিমাণ বেড়েছে। এর বেশির ভাগটাই দু’হাজার টাকার নোট। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোট বাতিলের ঘোষণা করে দাবি করেছিলেন, এর ফলে দেশ থেকে কালো টাকার সঙ্গে সঙ্গে জাল নোটের সমস্যাও মুছে যাবে। কিন্তু নোট বাতিলের পাঁচ বছর পরে সরকারি পরিসংখ্যানই বলছে, জাল নোটের সংখ্যা মুছে যাওয়া তো দূর, বরং তা বেড়েছে। প্রতি বছর একটু একটু করে বাড়লেও ২০২০ সালে উদ্ধার হওয়া জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১৯০ শতাংশ। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রতি বছর ৭০ কোটি টাকা মূল্যের জাল নোট বাজারে ঢুকছে। জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালে ৯২.১৭ কোটা টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। এই পরিমাণটা ২০১৯ সালে ছিল ২৫.৩৯ কোটি। তার আগের দু’বছর ২০১৮ ও ২০১৭ সালে ছিল যথাক্রমে ১৭.৯৫ এবং ২৮.১০ কোটি। আর নোটবাতিলের বছর ২০১৬ সালে ছিল ১৫.৯২ কোটি। এর বেশিটাই দু’হাজার টাকার নোট বলেও দাবি করা হয়েছে।
নোট জাল হওয়া ঠেকাতে দু’হাজার টাকা ধীরে ধীরে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে গত মার্চ মাসেই জল্পনা উস্কে দেয় অর্থ মন্ত্রক। অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর গত ১৫ মার্চ লোকসভায় জানান, গত দু’বছরে দু’হাজার টাকার নোট ছাপার কোনও বরাত দেওয়া হয়নি। নোট বাতিলের বছরে প্রায় ৩৫৪ কোটি দু’হাজারের নোট ছাপা হয়েছিল। ২০১৮-র মার্চে বাজারে ৩৩৬ কোটি দু’হাজারের নোট ছিল। ২০২১-এর গোড়ায় তা ২৪৯ কোটিতে নেমে এসেছে।

২০১৬ সালে তখনকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পরে গোলাপি রঙের দু’হাজার টাকার নোট চালু হয়েছিল। সরকার দাবি করেছিল, এই নোট জাল করা মুশকিল হবে। কিন্তু জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দাবি, গত কয়েক বছরে যত জাল নোট ধরা পড়েছে, তার মধ্যে দু’হাজার টাকার জাল নোটের সংখ্যাই বেশি। এখন তাই নতুন করে বাজারে ওই নোট ছাড়ার পরিবর্তে তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সাধারণ ভাবে এটিএম বা ব্যাঙ্কের শাখা থেকে এখন দু’হাজার টাকার নোট দেওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে রয়েছে। জমা পড়া বড় অঙ্কের নোট রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তুলে নিচ্ছে কি না সেটা অবশ্য এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে ইঙ্গিত তেমনই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement