—প্রতীকী ছবি।
ফের কমবে বাড়ি-গাড়ির ঋণের কিস্তি? নতুন অর্থবর্ষ (পড়ুন ২০২৫-’২৬) শুরু হওয়ার মুখে এই জল্পনা উস্কে দিল ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকার (বিওএফএ) গ্লোবাল রিসার্চ রিপোর্ট। আগামী এপ্রিলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটিতে দাবি করা হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি আরবিআই।
বিওএফএ-র দাবি, এপ্রিল রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে আরবিআই। এতে সুদের হার নেমে আসবে ছ’শতাংশে। শুধু তা-ই নয়, আগামী কয়েক মাস মুদ্রাস্ফীতির হার চার শতাংশের নীচে থাকবে বলে মনে করছে ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা। বিনিময় সুদের হারের চাপ উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে বলে রিপোর্টে লিখেছে ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, আগামী ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক নীতি চালু করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছু ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিওএফএ বিশ্বাস করে আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক নীতির সিদ্ধান্ত আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব বিস্তার করবে না।
এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি রেপো রেট বদল করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ওই দিন ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্র। ফলে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশ থেকে কমে ৬.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। দু’মাসের মাথায় ফের রেপো রেট হ্রাস করলে ব্যাঙ্কের ঋণগ্রহণকারীরা যে বেশ স্বস্তি পাবেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
ফেব্রুয়ারির আগে গত দু’বছর রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল আরবিআই। ২০২০ সালের মে মাসে শেষ বার সুদের হার হ্রাস করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ, প্রায় পাঁচ বছর পর সুদের হার কমিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে, তাকেই বলে রেপো রেট। এটি কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত বেঞ্চমার্ক ঋণে সুদের হার কমে যায়। ফলে হ্রাস পায় ঋণগ্রহণকারীদের মাসিক কিস্তির অঙ্ক।