রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
ব্যাঙ্ক পরিচালনায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। বেসরকারি, বিদেশি (ভারতে পূর্ণ শাখা সংস্থা থাকলে) এবং রাষ্ট্রায়ত্ত, সব ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই যেগুলি প্রযোজ্য হবে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে বর্তমান নিয়মের সঙ্গে নির্দেশিকার বিরোধ ঘটলে, ব্যাঙ্কটির নিয়মই প্রাধান্য পাবে।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও ব্যাঙ্কে একই ব্যাক্তি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) এবং চিফ এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও) বা হোল টাইম ডিরেক্টর (ডব্লিউটিডি) পদে টানা ১৫ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। যদি তার পরেও তাঁকে ওই পদে রাখতে হয়, তা হলে ১৫ বছরের মেয়াদ ফুরোনোর অন্তত তিন বছর পরে ফের নিয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু ওই তিন বছর সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কোনও কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি।
এমডি-সিইও সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের প্রোমোটার হলে অবশ্য ওই পদে থাকতে পারবেন ১২ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ১৫ বছর পর্যন্ত থাকার অনুমতি দিতে পারে। যদিও ৭০ বছর পেরিয়ে গেলে বিদায় নিতেই হবে। ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত পদে থাকতে পারবেন শুধু ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং নন-এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টরেরা।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই নতুন নির্দেশিকার প্রভাব পড়তে পারে কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা-সিইও উদয় কোটাকের উপরে। যিনি ২০০৩ সালে শীর্ষ ব্যাঙ্কের অনুমতি পাওয়ার পর থেকে কোটাক মহীন্দ্রা ব্যাঙ্ককে চালাচ্ছেন।
এ দিন নন-এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টরদের পারিশ্রমিকও বেঁধেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। নির্দেশিকায় তারা বলেছে, ওই কর্তাদের সর্বোচ্চ বেতন হতে পারে বছরে ২০ লক্ষ টাকা। পর্ষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য সিটিং ফি এবং যাতায়াত ইত্যাদি খাতে এখন যেমন বাড়তি টাকা পান, তেমনই পাবেন।
লেনদেনে ঝুঁকির বিষয়টি দেখতে ব্যাঙ্ক পর্ষদকে রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি (আরএমসি) গড়তে বলেছে আরবিআই। গড়তে হবে অডিট কমিটি অব দ্য বোর্ড (এসিবি)। আরএমসি তৈরি হবে শুধু নন-এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টরদের নিয়ে। তাদের বৈঠকে যোগদানকারীদের অন্তত অর্ধেককে স্বাধীন ডিরেক্টর হতে হবে। এসিবির সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য হবেন নন-এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টরেরা।