প্রতীকী চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৮ শতাংশে বেঁধেছে কেন্দ্র। বুধবার আর্থিক স্থিতিশীলতা রিপোর্টে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সন্দেহ প্রকাশ করেছিল, খরচের চাপে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু তার ঠিক পরের দিনই মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস নিজেদের রিপোর্টে দাবি করল, রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখা তো যাবেই, উপরন্তু তা হতে পারে ২০ বেসিস পয়েন্ট কম। অর্থাৎ, ৬.৬%। কর সংগ্রহের ধারাবাহিক বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন বিভিন্ন মন্ত্রকের খরচে বাঁধুনি দেওয়ার ফলেই তা সম্ভব।
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বিভিন্ন খাতে খরচ বাড়াতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। এর জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ৩.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর করানো হয়েছে। এর একটা অংশ অবশ্য আসবে বিভিন্ন মন্ত্রকের খরচ সাশ্রয়ের মাধ্যমে। বাকিটা সম্পূর্ণ নতুন খরচ। আবার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে আসবে বলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে সংগ্রহ অনেকটাই কম হতে পারে। এখনও পর্যন্ত এসেছে ৯৩৬৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষের শেষের দিকে এলআইসির বিলগ্নিকরণ সম্ভব হবে বলে কেন্দ্র আশা করলেও, ভারত পেট্রোলিয়ামে সেই আশা কম।
ইন্ডিয়া রেটিংসের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কিছু উদ্বেগের দিক থাকলেও, আয়কর, কর্পোরেট কর, জিএসটি এবং সেস সংগ্রহও ভাল রকম বাড়ছে। চাহিদা এবং আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি আসার ফলে তা সম্ভব হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির হার মাথাচাড়া দেওয়া রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন মহলের কাছে আশঙ্কার বিষয় হলেও, তা আদতে কর সংগ্রহের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করেছে।