শক্তিকান্ত দাস। ছবি— পিটিআই।
অর্থনীতির জন্য বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে স্পষ্ট ভাষায় সাবধান করে দিলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। বৃহস্পতিবার ঋণনীতি ঘোষণার পরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠক তাঁর হুঁশিয়ারি, এই সব ডিজিটাল মুদ্রা লগ্নিকারীদের পক্ষে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তো বটেই। ভারতে অর্থনৈতিক এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে আরবিআইয়ের যাবতীয় চেষ্টাতেও জল ঢালতে পারে। এ বারের বাজেটে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডিজিটাল মুদ্রা আনার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্র। অন্য দিকে, বাজারে চালু বিটকয়েন, এথেরিয়ামের মতো বেসরকারি ক্রিপ্টোগুলিকে ডিজিটাল সম্পদের তকমা দিয়ে লেনদেনে কর চাপিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেগুলি সম্পর্কে শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরবিআইয়ের ডিজিটাল মুদ্রা কবে আসবে, তার সময় নিয়ে এ দিন কিছু বলতে চাননি শক্তিকান্ত। শুধু জানিয়েছেন, ‘‘এটা নিয়ে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাই না। খুব সতর্ক হয়ে এবং সাবধানে পরীক্ষা চালাচ্ছি আর এগোচ্ছি। কারণ এতে একাধিক ঝুঁকি আছে। সব থেকে বড় ঝুঁকি সাইবার নিরাপত্তা রক্ষা এবং মুদ্রা জাল হওয়া নিয়ে।
এ দিন শক্তিকান্ত বলেন, আদতে এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির বিন্দুমাত্রও মূল্য নেই। তাই এতে লগ্নি করলে যে কোনও মুহূর্তে ডুবতে হতে পারে। লগ্নিকারীদের সাবধান করে দেওয়া তাঁর কর্তব্য। তাই বলছেন, কেউ নিজের দায়িত্বে ওই মুদ্রা কিনলে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই যেন এগোন।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ভারতে এখন ক্রিপ্টোকারেন্সির রমরমা। তবে কেন্দ্র বুঝিয়ে দিয়েছে অন্তত ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে এখানে স্বীকৃতি পাবে না বেসরকারিগুলি। সেটা আনবে শুধু রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এ বার আরবিআই এই বিপদ বার্তা দিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা তো করলই, সেই সঙ্গে নিজেদের ডিজিটাল মুদ্রা সম্পর্কে প্রাথমিক জমি তৈরির কাজও
শুরু করে দিল।