অবস্থানে অনড় সরকার, চিন্তা সেই শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতাই

প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে হাত দেওয়ার বিষয়ে সাবধান করছেন। স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ওই টাকা খয়রাতি কিংবা রাজকোষ ঘাটতি কমানোর কাজে ব্যবহারে আপত্তির কথা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে হাত দেওয়ার বিষয়ে সাবধান করছেন। স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ওই টাকা খয়রাতি কিংবা রাজকোষ ঘাটতি কমানোর কাজে ব্যবহারে আপত্তির কথা। সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পরিচালনায় স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি বলে জানাচ্ছেন আর্ন্তজাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) ডিরেক্টরও। কিন্তু এই সমস্ত কিছুর পরেও কেন্দ্র যে কার্যত নিজেদের অবস্থানে অনড়, তার স্পষ্ট প্রতিফলন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কথাতেই। বরং একটি নির্বাচিত সরকার ঋণ নগদের সমস্যার কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে তুললে, কেন তাকে নিয়ন্ত্রকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হবে, তা নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন তিনি।

Advertisement

প্রাক্তন অর্থ সচিব শক্তিকান্ত দাস রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পরে শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রথম বোর্ড বৈঠক ছিল শুক্রবারই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, নতুন কর্ণধার নাকি বলেছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিচালনা এবং ভাঁড়ার ভাগের মতো বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে মন কষাকষি দ্রুত মেটাতে চান তাঁরা। সংশ্লিষ্ট মহলের চিন্তা, তা যেন স্বাধীনতা জলাঞ্জলি দেওয়ার বিনিময়ে না আসে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিচালনায় বোর্ড পরামর্শ দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নররা। সুদ ঠিক করে ঋণনীতি কমিটি। কিন্তু সরকারের একাশ থেকেই হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ওই পরিচালনার ভার আসলে থাকা উচিত বোর্ডের হাতে। একই ভাবে শোনা গিয়েছে, অর্থনীতিতে হঠাৎ আসা বিপদ সামাল দিতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের যে বিপুল ভাঁড়ার রয়েছে, তার একটি অংশ কোষাগারে চায় কেন্দ্র। শীর্ষ ব্যাঙ্কের উপরে চাপ রয়েছে অনাদায়ি ঋণে কাবু ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নতুন করে ধার দেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা (পিসিএ) শিথিল করা নিয়েও। অনেকের মতে, এ সব নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানে অনড় থাকার ইঙ্গিত স্পষ্ট জেটলির কথায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement