—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লাগাতার পতনের পরে অল্প ‘বিশ্রাম’। তার পরে বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারের পতন এবং বিদেশি লগ্নিকারীদের শেয়ার বিক্রির গতি বৃদ্ধির জেরে ডলারের সাপেক্ষে আরও তলিয়ে গেল ভারতীয় মুদ্রার দাম। ১ ডলার ৮ পয়সা বেড়ে ছুঁল ৮৪.৫০ টাকা। এই প্রথম। আমেরিকায় আদানিদের বিরুদ্ধে ঘুষ-প্রতারণার অভিযোগের জেরে এ দেশের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নির প্রস্থান আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সে ক্ষেত্রে টাকা আরও দুর্বল হতে পারে।
আইআইটি পটনার অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক মনে করেন, নিউ ইয়র্কের আদালতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগে শেয়ার থেকে বিদেশি লগ্নি সরে যাওয়ার গতি বাড়তে পারে। তাতে টাকার আরও পড়ার আশঙ্কা। তবে বছরের শেষে ডলারের দাম ৮৫ টাকার আশেপাশে থিতু হতে পারে বলে অনুমান তাঁর। বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, ‘‘টাকার দুর্বলতা সরকারের পক্ষে রাজকোষ ঘাটতি সামাল দেওয়া কঠিন করতে পারে। আর টাকার দাম কমলে বাড়বে আমদানির খরচ। যা দেশে জিনিসের দাম আরও বাড়াতে পারে। আরও ঠেলে তুলতে পারে মূল্যবৃদ্ধিকে।’’