—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব অর্থনীতির গতি মন্থর হওয়ায় ভারতের পণ্য রফতানি বেশ কিছু দিন নিম্নমুখী। সেই প্রবণতা বজায় রেখে জুলাইয়েও রফতানি কমল। এই নিয়ে টানা ছ’মাস। সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত মাসে রফতানি দাঁড়িয়েছে ৩২২৫ কোটি ডলার। যা এক বছর আগের তুলনায় ১৫.৮৮% কম। আমদানিও ১৭% কমে ৫২৯২ কোটিতে নেমেছে। তবে এর ফলে বাণিজ্য ঘাটতি ৪৭৬ কোটি ডলার কমে হয়েছে ২০৬৭ কোটি। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম চার মাসেও (এপ্রিল-জুলাই) রফতানি কমেছে ১৪.৩২%। কেন্দ্র জানিয়েছে, মূলত পেট্রোপণ্য, এঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং গয়নার রফতানি কমার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক রফতানিতে। আমদানি কমেছে সোনা ও অশোধিত তেলের। সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য আশা, মাস দুয়েকে অবস্থা বদলাতে শুরু করবে।
রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়োর ডিজি-সিইও অজয় সহায় ও ইইপিসি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অরুণ কুমার গারোদিয়ার অবশ্য মত, বিশ্বে চাহিদা কমাই ভারতের রফতানি সঙ্কোচনের কারণ। সহায় বলেন, ‘‘বহু দেশের রফতানি কমেছে। চিনের কমেছে ১৫%।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘গত মাসের রফতানি প্রাক-অতিমারির চেয়ে বেশি। বিশ্বে চাহিদা কমার মূল কারণ মূল্যবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুদ বৃদ্ধি। তবে সম্প্রতি বিদেশে মূল্যবৃদ্ধি কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ফলে মাস দুয়েকের মধ্যে রফতানি মাথা তুলতে পারে।’’
কেন্দ্রীয় বাণিজ্যসচিব সুনীল বার্থওয়ালের ব্যাখ্যা, গত দু’বছর রফতানি নজির গড়েছিল। বিশ্ব অর্থনীতির সমস্যার পাশাপাশি সেই উঁচু ভিতও রফতানি হ্রাসের কারণ। তা সত্ত্বেও এ বছরের রফতানি গত অর্থবর্ষকে (৭৭,৬০০ কোটি ডলার) ছাপাতে পারে।