—প্রতীকী চিত্র।
আধার নথিভুক্তি কিংবা সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রবীণ-সহ অনেকেরই বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ, চোখের মণির স্ক্যান) ঠিক মতো না মেলায় হয়রানির মুখে পড়তে হয়। কেরলে এমনই এক ঘটনার প্রেক্ষিতে আধার কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থার জন্য নির্দেশ দিলেন বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আধার
কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই) বলেছেন, সেই চালু বিকল্প ব্যবস্থায় এই সমস্যা এড়িয়ে এ পর্যন্ত ২৯ লক্ষ আধার নথিভুক্ত করিয়েছেন। ফলে আধার কেন্দ্রের সচেতনতার অভাবই স্পষ্ট!
শনিবার কেন্দ্র জানায়, কেরলের বাসিন্দা জোসিমল পি জোসের আঙুল না থাকায় তাঁর আধার নথিভুক্তি হচ্ছিল না। তা জেনে রাজীব দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। তার পরেই ইউআইডিএআইয়ের প্রতিনিধি দল গিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় তা করে দেয়। রাজীব বলেন, ‘‘যাঁদের এমন শারীরিক সমস্যা রয়েছে বা আঙুলের ছাপ ঠিক মতো মেলে না, তাঁদের বিকল্প ব্যবস্থায় আধার নথিভুক্তি করতে সাধারণ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।’’
ওই বিবৃতিতে ইউআইডিএআই জানিয়েছে, ২০১৪ সালের ১ অগস্ট থেকেই এমন ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা চালু রয়েছে। যাঁদের আঙুল নেই, বা কোনও দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার জন্য আঙুলের ছাপ মেলে না, বিকল্প হিসেবে তাঁদের চোখের মণির ছাপই প্রযোজ্য হবে। তা না মিললে নেওয়া হবে আঙুলের ছাপ। এমনকি, দুটোর কোনওটি না মিললেও সম্ভব আধার নথিভুক্তি। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য তথ্যের সঙ্গে কোন বায়োমেট্রিক তথ্য মিলল না, তা সফটওয়্যারে উল্লেখ করতে হবে। নির্দেশিকা মেনে নির্দিষ্ট ভাবে তুলতে হবে ছবি। তার পরে ওই আধার কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সেটিকে ব্যতিক্রমী হিসেবে যাচাই করে স্বীকৃতি দেবেন। বাকি সব তথ্য ঠিক থাকলে আধার নথিভুক্তি সম্পূর্ণ হবে।
ইউআইডিএআই জানাচ্ছে, এ ভাবে রোজ অন্তত এক হাজার নথিভুক্তি হয়। তদন্তে বলঠে, জোসিমলের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী নির্দেশিকার প্রক্রিয়া মানা হয়নি। তবে মন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে স্বীকৃত আধার পরিষেবা কেন্দ্র ও নথিভুক্ত সংস্থাগুলিকে বিকল্প ব্যবস্থা ঠিক মতো কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।