—প্রতীকী চিত্র।
পেগাসাস কাণ্ডের রেশ তখনও যায়নি। গত নভেম্বরের গোড়ায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধী নেতাদের একাংশ দাবি করেন, অ্যাপল ‘নোটিফিকেশন’ পাঠিয়ে জানিয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থা তাঁদের আইফোন ‘হ্যাক’ করে নজরদারি চালাচ্ছে। অভিযোগ স্বীকার না করলেও ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিমকে (সার্ট-ইন) তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। আজ এক সাক্ষাৎকারে বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের দাবি, সেই সতর্কবার্তা সম্পর্কে অ্যাপল এখনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে কেন্দ্র সেই অপেক্ষাতেই রয়েছে। সার্ট-ইনও তদন্ত চালাচ্ছে। এই নিয়ে পাঠানো মেল-এর উত্তর দেয়নি অ্যাপল।
রাহুল ছাড়াও সতর্কবার্তা পান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, দলের নেতা শশী তারুর, পবন খেরা, কে সি বেণুগোপাল, সুপ্রিয়া শ্রীনতে, টি এস সিংদেও, ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী ও আপেররাঘব চড্ডা। তালিকায় ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।সকলেই দাবি করেন, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে কথা হোক। ডাকা হোক সংস্থার প্রতিনিধিকে।কমিটি অবশ্য জানায়, এটা করতে পারে শুধু কেন্দ্র। তার পরেই সার্ট-ইনকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়।
আজ রাজীব জানান, অ্যাপলকেদু’টি প্রশ্ন করেছিল কেন্দ্র। তাদের যন্ত্র কি নিরাপদ? যদি তা হয় তবে বিরোধীদের সতর্কবার্তা পাঠানোর ভিত্তি কী? মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘কোনও সংস্থা মানবে না তাদের যন্ত্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি আছে। দ্ব্যর্থহীন উত্তর দেয়নি অ্যাপলও। ...অভিযোগের দিন বলেছিলাম, ব্যাখ্যা অ্যাপলকেই দিতে হবে। কারণ, ঘটনায় তাদের যন্ত্র জড়িত। তাদের অপারেটিং সিস্টেম খতিয়ে দেখার মতো গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যবস্থা কেন্দ্রের নেই।’’ রাজীব জানান, অ্যাপল দাবি করেছে, রাষ্ট্র পরিচালিত কোনও পক্ষের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। তা হলে ওই সতর্কবার্তার অর্থ কী? সেই প্রশ্নেরও কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছে তারা। এখনও দিচ্ছে। তবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তদন্ত চালাচ্ছে সার্ট-ইনও।