—প্রতীকী চিত্র।
ফের বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র ও আদানি গোষ্ঠী। কয়লা আমদানি কিংবা বিমানবন্দর অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ওই শিল্প গোষ্ঠীকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, সে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার।
বিদ্যুতের জোগান স্বাভাবিক রাখতে গত বছর তাপ বিদ্যুৎ কেন্ত্রগুলিকে দেশীয় কয়লার সঙ্গে আমদানি করা কয়লা মেশানোর নির্দেশ দেয় মোদী সরকার। যার জেরে কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবর সরকার খতিয়ে দেখেছে কি না, তা রাজ্যসভায় জানতে চেয়েছিলেন জহরবাবু। পরে তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ সরাসরি তথ্য দেওয়ার বদলে অপ্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান দিয়ে আলোচনা ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন।
বস্তুত, বিদ্যুৎমন্ত্রী লিখিত জবাবে আদানিদের বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে জানিয়েছেন, কয়লার আমদানি কমছিল। গত বছর বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির জেরে তৈরি হওয়ার সঙ্কট মেটাতেই ফের তা আমদানি করা হয়। না হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার মজুত ভান্ডার শেষ হয়ে যেত।
যে ছ’টি বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণ হয়েছে, সেগুলি থেকে সরকারের সাশ্রয়, বেসরকারি সংস্থার আয়-সহ বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছিলেন জহরবাবু। লিখিত জবাব পেয়ে পরে তাঁর বক্তব্য, আদানিরা বিমানবন্দরগুলি হাতে নেওয়ায় বছরে ৫১৪.৫৯ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে সরকারের। আদানিদের আয় হয়েছে ১৮৩৮ কোটি টাকা। অথচ সরকার সেগুলি লোকসানে চালাচ্ছিল!