—প্রতীকী চিত্র।
আগামী বছর দেশীয় প্রযুক্তিতে বিএসএনএলের গ্রাহকদের জন্য ৫জি পরিষেবা চালু করার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। এ বার একই বার্তা দিলেন সেই প্রযুক্তির মূল নির্মাতা রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থা, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অব টেলিম্যাটিক্স (সি-ডট)-এর সিইও রাজকুমার উপাধ্যায়। তবে তার পরেই উঠেছে প্রশ্ন, সংস্থা এখনও দেশ জুড়ে ৪জি পরিষেবাই চালু করে উঠতে পারেনি। যাকে কেন্দ্র করে গ্রাহকদের যথেষ্ট ক্ষোভও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ৫জি-র বার্তা কি শুধুই কথার কথা? নাকি তার কোনও সারবত্তাও রয়েছে!
টেলিকম শিল্পের সম্মেলন ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরীক্ষামূলক ভাবে পুরোদস্তুর দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর ৫জি ব্যবস্থায় ভিডিয়ো-কল করে দেখানো হয়। রাজকুমার জানান, ভিবিডিএন টেকনোলজিস এবং স্টার্ট-আপ সংস্থা উইজ়িগ-এর সঙ্গে মিলে ভারতের মাটিতে ওই ব্যবস্থা (নেটওয়ার্ক) তৈরি করেছে সি-ডট। ঠিক যে ভাবে এর আগে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে তাঁরা তৈরি করেছিলেন দেশীয় ৪জি প্রযুক্তি।
রাজকুমার বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই বিএসএনএলের পঞ্জাব সার্কলে দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর ৪জি এবং ৫জি-র যন্ত্র বসিয়েছি। ৬-৮ মাসের মধ্যে শুধুমাত্র (স্ট্যান্ড অ্যালোন) ৫জি-র যন্ত্র বসিয়ে পরীক্ষা চালানো হবে।’’ তিনি জানান, বিএসএনএল ৫জি-র ওই প্রযুক্তি বড়সড় আকারে ব্যবহার করতে শুরু করলে বিদেশেও তা রফতানির বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এখন শুধুমাত্র ৫জি পরিষেবার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে রিলায়্যান্স জিয়ো-র। অর্থাৎ, সেই ব্যবস্থা বা পরিকাঠামোয় ২জি বা ৩জি বা ৪জি প্রযুক্তি মেশে না। বিএসএনএল পঞ্জাব সার্কলে সি-ডটের যে ৪জি এবং ৫জি প্রযুক্তি চালু করছে, সেই পরিকাঠামোয় তার সঙ্গে অন্য প্রযুক্তিও রয়েছে।