ফাইল ছবি
গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যগুলির ঋণ নিয়ে সতর্ক করেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্রের নেতৃত্বে লেখা প্রবন্ধে বলা হয়েছিল, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং বিহারের সরকারি ঋণ এতটাই বেশি যে, চাপে পড়ছে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্য। রাজ্যগুলিকে অবিলম্বে বাড়তি খরচে রাশ টেনে পরিস্থিতি সামলানোর পরামর্শও দেওয়া হয়। এই প্রবন্ধ নিয়েই প্রশ্ন তুলল তাদের একাংশ।
কেরলের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাকের মতে, চাইলেই রাজ্যের পক্ষে খরচ কমানোর পথে হাঁটা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন খরচ কমিয়ে এখন রাজ্যের যে অর্থ বাঁচবে, সেটা মোট খরচের নামমাত্র। এ ক্ষেত্রে শীর্ষ ব্যাঙ্ক অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। কিছুটা একই মতের শরিক রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা সান্যাম লোঢাও। সরাসরি মোদী সরকারের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, সমস্ত রাজ্য তো বটেই, কেন্দ্রর ঋণও ঊর্ধ্বমুখী। নোটবন্দি, তড়িঘড়ি জিএসটি চালু এবং তার পরে করোনার মধ্যেও সে ভাবে লোকসান পুষিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়া হয়নি রাজ্যগুলিকে। যদিও রাজস্থানে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সেই দাবি মানতে চাননি।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও করোনায় ধাক্কা খাওয়া মানুষকে সুরাহা দিতে আনা বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য ঋণ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের মতে, ‘‘২০১১-১২ সাল থেকেই রাজ্যের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সাপেক্ষে কমছে ঋণের পরিমাণ।’’ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও বলেছিলেন, কোভিডের কারণে তৈরি হওয়া আর্থিক বিপর্যয় সামলাতে মানুষের হাতে নগদ পৌঁছনোর দাওয়াই দিয়েছিলেন বহু অর্থনীতিবিদ। সেই কাজটাই রাজ্য সরকার করেছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।