প্রতীকী ছবি।
Inদেশের নতুন, বর্তমান এবং থমকে থাকা পরিকাঠামো প্রকল্পগুলি তৈরিতে গতি আনতে ৪০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় লগ্নি ও পরিকাঠামো ফান্ড (এনআইআইএফ) তৈরি হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। সরকারি সূত্রের দাবি, এই ক’বছরে (গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) আধা সরকারি এই তহবিল থেকে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পের শেয়ারে লগ্নি হয়েছে মাত্র ৪,৬৮৯ কোটি টাকা। সহযোগীদের সঙ্গে মিলিয়ে তা ১১,৭৪২ কোটি। ঋণপত্রে লগ্নি করে ৭,৯৩৫ কোটি টাকা জুগিয়েছে তারা। ফলে সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে দেশের পরিকাঠামোয় এনআইআইএফের বিনিয়োগ ১৯,৬৭৭ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, এতগুলো বছরে খরচ এত কম কেন? যেখানে সরকার পরিকাঠামো তৈরিতে বার বার জোর দেওয়ার কথা বলে।
গত নভেম্বরে ঋণপত্র মারফত পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ টানতে এই এনআইআইএফেই ৬০০০ কোটি টাকা শেয়ার মূলধন জোগানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্র জানিয়েছিল, দু’বছরে তহবিলের ঋণপত্রের অংশে (ডেট প্ল্যাটফর্ম) ৬০০০ কোটি টাকা ঢালবে তারা। বন্ডের মাধ্যমে টাকা তোলার পরিবেশ ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ২০০০ কোটি দেওয়া হতে পারে এই বছরই। এর উপরে ৭০০০ কোটি টাকা শেয়ার মূলধন দেবে এনআইআইএফ। আর সেই ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার থেকে সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে ১ লক্ষ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে, এই শুরুর ৬০০০ কোটি লগ্নির সুবাদে যে তহবিল গড়ে উঠবে তা দিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে অন্তত ১.১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা যাবে বলে ধারণা কেন্দ্রের। তবে সরকার এটাও বলে, করোনার জেরে খরচের ক্ষমতা কমায় কোনও পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য তৎক্ষণাৎ পুঁজির প্রয়োজন পড়লে তবেই তা ঢালা হবে
কোভিডে মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পরিকাঠামোয় বিপুল বিনিয়োগ যে জরুরি, তা বার বার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দাবি করেছেন, তার জন্য প্রয়োজন ১০০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রশ্ন, যেখানে পাঁচ বছরে এনআইআইএফের লগ্নি এইটুকু, সেখানে খরচের বড় বড় লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে লাভ কি?