এতিহাদে আপত্তি কাতার এয়ারের

শত্রুর হাতে শেয়ার, তাই আপত্তি জেটে

দীর্ঘদিন ধরেই নগদের সমস্যায় ভুগছে জেট এয়ারওয়েজ। ডিসেম্বরে ঋণদাতাদের পাওনা প্রথম বার দিতে ব্যর্থ হয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থাটি। নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না অনেক কর্মীই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৫
Share:

খড়্গহস্ত: কাতার এয়ারওয়েজের বিমানের সামনে বাকের। রয়টার্স

দীর্ঘদিন ধরেই নগদের সমস্যায় ভুগছে জেট এয়ারওয়েজ। ডিসেম্বরে ঋণদাতাদের পাওনা প্রথম বার দিতে ব্যর্থ হয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থাটি। নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না অনেক কর্মীই। এই অবস্থায় বেশ কিছু দিন আগে থেকেই নতুন পুঁজির খোঁজ শুরু করেছে তারা। পুঁজির খোঁজ চলছে পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও। এই অবস্থায় মঙ্গলবার কাতার এয়ারওয়েজ পরিষ্কার করে জানিয়ে দিল, জেটের পুঁজির দৌড়ে তারা অন্তত নেই। এর কারণ অবশ্য তাদের ভূখণ্ডের স্থানীয় সমস্যা। কাতারের সরকারি বিমান সংস্থা কাতার এয়ারওয়েজের সিইও আকবর আল-বাকের সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নাম না করেই জানিয়েছেন, জেটে যত দিন ‘শত্রু’ রাষ্ট্রের সংস্থার অংশীদারি থাকবে, তত দিন তাঁদের পক্ষে পুঁজি ঢালার কথা ভাবাই সম্ভব নয়। বরং তাঁরা যে ইন্ডিগোয় পুঁজি ঢালতে বেশি আগ্রহী, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন আল-বাকের।

Advertisement

সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিমান সংস্থা এতিহাদের হাতে রয়েছে জেট এয়ারওয়েজের ২৪% অংশীদারি। বাজারে জল্পনা, শর্ত সাপেক্ষে সেই অংশীদারির অঙ্ক বাড়াতে চায় তারা।

সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালেই কাতারের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সৌদি আরব, মিশর এবং বাহারিনও কাতার এয়ারওয়েজকে বয়কট করেছে। এই শত্রুতার প্রভাব পড়েছে তেল রফতানিকারী দেশগুলির গোষ্ঠী ওপেকেও। ৫৭ বছর ওপেকে থাকার পরে এ মাসেই গোষ্ঠী ছেড়েছে কাতার। ফলে সম্প্রতি সম্পর্ক আরও তেতো হয়েছে। এ দিন তারই প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক উড়ান সম্মেলনেও। বাকের বলেন, ‘‘এতিহাদের হাতে ২৪% অংশীদারি না থাকলে বিষয়টি (জেটের অংশীদারি কেনা) অবশ্যই ভেবে দেখতে পারি। শত্রুর হাতে যে বিমান সংস্থার শেয়ার রয়েছে, তার অংশীদারি কী ভাবে কেনা সম্ভব?’’

Advertisement

এমনিতে কাতার এয়ারের আর্থিক অবস্থাও এখন তেমন সুবিধের নয়। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ক্ষতি ৬.৭২ কোটি ডলার। তা পুষিয়ে দিতে জন্য অন্যান্য দেশের উড়ান সংস্থায় অংশীদারি কিনতে শুরু করেছে তারা। অতীতে ভারতের বিমান সংস্থায় পুঁজি ঢালার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেছিল কাতার এয়ারওয়েজ। বহু বছর আগে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের হাত ধরার ব্যাপারেও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এ দিন বাকের জানান, ইন্ডিগোর ব্যাপারে তাঁরা আগ্রহী। জেটের বিষয়ে জল্পনায় এই নিয়ে নাম জড়াল অনেক সংস্থার। কখনও শোনা গিয়েছে, টাটারা আগ্রহী, তো কখনও রটেছে অংশীদারি বাড়াবে এতিহাদ। আপাতত নিজেদের নিয়ে জল্পনায় জল ঢালল কাতার এয়ার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement