—প্রতীকী চিত্র।
পেট্রোরসায়ন শিল্পের সীমা ছাড়িয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক গবেষণার সূতিকাগৃহ গড়তে বেশ কয়েক বছর আগে এ রাজ্যে বিশেষ কেন্দ্র টিসিজি সেন্টারস ফর রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (টিজিসি ক্রেস্ট) তৈরি করেছিলেন অনাবাসী বাঙালি শিল্পপতি পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। ইঙ্গিত ছিল সেখানেই অদূর ভবিষ্যতে খাদ্যপ্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানের গবেষণা কেন্দ্র চালু করবে তাঁর চ্যাটার্জি গোষ্ঠী (টিসিজি)। সম্প্রতি সেটির (ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স ইনস্টিটিউট বা এফটিএসআই) উদ্বোধন করেন পূর্ণেন্দু। আগামী দিনে স্বাস্থ্যকর খাবারের উপাদান তৈরি-সহ এই ক্ষেত্রেও ব্যবসা ছড়াতে পারে চ্যাটার্জি গোষ্ঠী। সেই লক্ষ্যে টিসিজি ক্রেস্টের সঙ্গী ওই গোষ্ঠীরই অপর সংস্থা এমসিপিআই। যেটিকে ২০১৬ সালে মিৎসুবিশি কেমিক্যাল কর্পোরেশনের থেকে কেনে টিসিজি।
শিল্পের একাংশের মতে, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সব সময় বাণিজ্যিক ভাবে কাজে লাগানো যায় না। তা শিল্পের উপযুক্ত করে গড়তে হয়। লাগে প্রযুক্তি। সেই সংক্রান্ত গবেষণা ও সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার স্বপ্ন থেকেই কলকাতায় অলাভজনক আধুনিক গবেষণা কেন্দ্র গড়ার কথা ভাবেন পূর্ণেন্দু। খাদ্যপ্রযুক্তির গবেষণা কেন্দ্রের বিষয়ে এমসিপিআই ডিরেক্টর-সিইও ডি পি পাত্র মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এটি পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ভাবনা অনুযায়ী চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর অনন্য উদ্যোগ।’’
গোষ্ঠী সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য তৈরি জন্য উন্নত মানের উপাদান উৎপাদনের বিষয়ে কাজ করবে এফটিএসআই। এই ধরনের খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ব্যবহারের মেয়াদ সংক্রান্ত সায় মেলে নিয়ন্ত্রকের তরফে। উন্নত উপাদান ব্যবহার করে পণ্যের গুণমান আরও বেশিদিন বজায় রাখার উদ্দেশ্যে কাজ হবে ওই কেন্দ্রে। এ জন্য এমসিপিআইয়ের বিশেষ শাখা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে এফটিএসআই। ভবিষ্যতে এই গাঁটছড়া ই-কমার্স মঞ্চ গড়তেও একসঙ্গে কাজ করবে।