প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের চড়া দামের মধ্যেই বেশি পরিমাণে তেল যাঁরা কেনেন (বাল্ক ইউজ়ার), সেই সমস্ত ক্রেতাদের জন্য ডিজ়েলের দাম এক ধাক্কায় লিটারে ২৫ টাকা করে বাড়িয়েছে তেল সংস্থাগুলি। এই খবর সামনে আসার পরেই মোদী সরকারকে তোপ দাগল বিরোধী কংগ্রেস। এতে রেলের খরচ বাড়ায় মূল্যবৃদ্ধি আরও মাথা তুলবে এবং শিল্পের খরচ ও জিনিসের দাম বাড়বে বলে অভিযোগ তাদের। বিশেষত মঙ্গলবার পেট্রল-ডিজ়েল এবং রান্নার গ্যাসের দামও বাড়িয়েছে তেল সংস্থাগুলি। এই জোড়া ফলায় মানুষকে আতান্তরে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার আটা, নুন, সরষের তেল, ডালের মতো বিভিন্ন পণ্যের তুলনায় গত বছর মার্চের কম দাম এবং চলতি মাসের দর তুলে ধরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর টুইট, ‘‘তফাতটা ভারতীয় জনতা টের পাচ্ছেন। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নয়।’’
সেই সঙ্গে বিরোধী দলটির মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালার টুইটে দাবি, ‘‘বেশি পরিমাণে তেল কেনার ক্ষেত্রে দেশে প্রথম রেল এবং সেনাবাহিনী। ২০১৫ সালের ৩ অগস্ট রেলের বাল্ক ডিজ়েলের সরবরাহের বড় অংশই দু’টি বড় বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রেল প্রতিদিন ৬৫ লক্ষ লিটার ডিজ়েল কেনে। এর দাম ২৫ টাকা করে বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ, দিনে (৬৫,০০,০০০x২৫ টাকা) ১৬.২৫ কোটি টাকা। বছরে ৫৯৩১ কোটি!’’
এ দিকে রেলের মাধ্যমে খাদ্য-সহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ হয়। ফলে তাদের ক্ষেত্রে ডিজ়েল কেনার খরচ বাড়লে, এমনিতেই চড়া মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে জিনিসপত্রের দর আরও মাথাচাড়া দেবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলছে সংশ্লিষ্ট মহল। এ দিন সূরজেওয়ালাও বলেন, এই সিদ্ধান্তে রেলের ভাড়া, পণ্য পরিবহণ খরচ ও বাস ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষত শিল্পের খরচ বাড়ায় পণ্যের দামও বাড়বে। চার রাজ্যে সাম্প্রতিক ভোটে জেতার পরে এটা মানুষকে মোদী সরকারের উপহার কি না, সেই প্রশ্নও করেছেন তিনি।
সেই সঙ্গে ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলি ১০%-১৫% দাম বাড়াতে পারে বলে যে খবর রয়েছে, তা তুলে ধরে কংগ্রেস মুখপাত্রের দাবি, ‘‘ফেব্রুয়ারিতে এক দফা দাম বৃদ্ধির পরে ফের সাবান, টুথপেস্ট, চা, কফি, বিস্কুট, নুডল্সের মতো পণ্যের দাম বাড়তে চলেছে। ভোটে জিতে মানুষকে সুরাহা দেওয়া ‘রাজধর্ম’। আর মূল্যবৃদ্ধির চাপে ফেলা ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ সমান।’’