প্রতীকী ছবি।
দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল কল-কারখানার উৎপাদনে ভাটা। শুক্রবার জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (এনএসও) বলেছে, গত ডিসেম্বরে
কল-কারখানার উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচারিং) ফের সরাসরি কমে গিয়েছে ০.১%। মূলত সেই কারণেই ওই মাসে শিল্প বৃদ্ধির হার আরও নীচে নেমে ০.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা গত ১০ মাসের মধ্যে সব থেকে কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে বলে বার্তা দিচ্ছে সরকার। দাবি করছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দ্রুত। শীঘ্রই বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতি হওয়ার শিরোপা ফিরে পাবে ভারত। অথচ চার মাস হল শিল্প বৃদ্ধির হার নাগাড়ে নামছে। সব থেকে বড় কথা, শিল্পোৎপাদনের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে (৭৭ শতাংশের বেশি) কল-কারখানার যে উৎপাদন, তা-ই আবার সঙ্কোচনের খাদে মুখ থুবড়ে পড়েছে। অথচ এই উৎপাদনমুখী শিল্পের মাথা তোলা আর্থিক কর্মকাণ্ড ছন্দে ফেরার সব থেকে বড় ইঙ্গিত। তাতে গতি আসার মানে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। যা চাহিদা বৃদ্ধির জন্যও অন্যতম জরুরি শর্ত বলে মনে করা হয়। ডিসেম্বরে উৎপাদন কমেছে ভোগ্যপণ্যেরও। বিদ্যুৎ, খননে বাড়লেও, তা চোখে পড়ার মতো নয়।
যদিও তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর, এই ন’মাসে শিল্প বৃদ্ধির হার বিপুল, ১৫.২%। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এটাও উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু নয়। কারণ, তার আগের বছরের ওই ন’মাসে ১৩.৩% সঙ্কুচিত হয়েছিল শিল্পোৎপাদন। ফলে সেই নিচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে এমন উঁচু বৃদ্ধি প্রত্যাশিতই ছিল। যেটা এর আগে গত মার্চ থেকে অগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসের শিল্প বৃদ্ধির হারেও দেখা গিয়েছে। ২০২০ সালের ওই মাসগুলিতে করোনার জন্য লকডাউনের দরুন কার্যত তলিয়ে গিয়েছিল উৎপাদন।