ফাইল চিত্র।
দেশে যখন গাড়ি বিক্রি নাগাড়ে কমছে, ঠিক তখনই ভারতে পেট্রল-ডিজেল ও বৈদ্যুতিক গাড়ির সহাবস্থানের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভারতের বাজার যথেষ্ট বড়। নীতি তৈরির পরিসরও বেশি। ফলে প্রথাগত ইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক, এই দু’ধরনের গাড়ির বিক্রি বাড়ানোরই রসদ মজুত আছে এখানে। তাই কোনও একটির বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা ছড়ানোর প্রয়োজন নেই।
মোদীর এই বার্তাকে গাড়ি শিল্প স্বাগত জানিয়েছে ঠিকই। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের প্রশ্ন, এই বার্তা কি বৈদ্যুতিক গাড়ি সংক্রান্ত নীতিতে কোনও বদলের ইঙ্গিত? যদি সেটা হয়, তা হলে সেই বদল গাড়ি শিল্প এখনও জানতে পারল না কেন? বিশেষত নীতি আয়োগ যেখানে বলছে দেশে ২০২৩ সালের মধ্যে সব তিন চাকা ও ২০২৫-এর মধ্যে সব দু’চাকা বৈদ্যুতিক করার কথা। বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রিতে।
অনেকের অভিযোগ, একেই বিক্রি কমায় নাস্তানাবুদ অবস্থা, তার উপরে ধন্দ তৈরি হচ্ছে এতে। মোদী অবশ্য গাড়ির চাহিদা বাড়াতে শীঘ্রই ত্রাণ প্রকল্প আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তা-ও উৎসবের মরসুম শুরুর আগেই।