wholesale market

খুচরোর পরে ধাক্কা পাইকারি দরেও

বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাতে গতি আসার পথে মূল্যবৃদ্ধিই প্রধান বাধা বলে গত সপ্তাহে মাসিক রিপোর্টে মেনেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। বলেছে জোগান বাড়িয়ে দরকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা ধাক্কা খাওয়ার কথাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০৫:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আশঙ্কা ছিলই। তা সত্যি করে খুচরোর পরে এ বার অক্টোবরে মাথাচাড়া দিল পাইকারি বাজার দর। সোমবার সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, গত মাসে ওই হার দাঁড়িয়েছে ১.৪৮ শতাংশে। যা আট মাসে সর্বাধিক। লকডাউনের আগের মাস, ফেব্রুয়ারিতে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ছিল ২.২৬%। আর সেপ্টেম্বরে ১.৩২%।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর যে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাতে গতি আসার পথে মূল্যবৃদ্ধিই প্রধান বাধা বলে গত সপ্তাহে মাসিক রিপোর্টে মেনেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। বলেছে জোগান বাড়িয়ে দরকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা ধাক্কা খাওয়ার কথাও। এই পরিস্থিতিতে খুচরোর পরে পাইকারি দর বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে আগামী দিনে সুদ হ্রাসের সম্ভাবনা কমল বলে মনে করছেন তাঁরা।

এর আগে খাদ্যপণ্যের আগুন দরের হাত ধরে গত মাসে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি ৭.৬১% ছুঁয়েছিল। যা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৪ শতাংশের (+/-২%) লক্ষ্যমাত্রার বহু উপরে। পাইকারির ক্ষেত্রেও চিন্তায় রেখেছে আনাজ ও আলুর দর। যা বেড়েছে যথাক্রমে ২৫.২৩% এবং ১০৭.৭% হারে। তবে সার্বিক ভাবে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সেপ্টেম্বরের ৮.১৭ শতাংশের চেয়ে কিছুটা নেমে অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ৬.৩৭ শতাংশে। যদিও এই সময়ে মাথাচাড়া দিয়েছে তৈরি পণ্যের দাম। যা মূল্যবৃদ্ধিকে টেনে তুলেছে।

Advertisement

ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতো বিশেষজ্ঞদের মতে, খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে খাদ্যপণ্য ও বিদ্যুৎ-তেলের মতো জ্বালানি বাদে বাদবাদি জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি (কোর ইনফ্লেশন) অগস্ট থেকে টানা বাড়ছে। গত মাসে ওই হার পৌঁছে গিয়েছে ১.৭ শতাংশে। আগামী কয়েক মাসেও তা উপরের দিকে থাকার সম্ভাবনা। এই হার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় ঠিকই। কিন্তু সুদ স্থির করার ক্ষেত্রে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফলে চড়া খাদ্যপণ্যের কারণে ডিসেম্বরের ঋণনীতিতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার একই রাখবে বলে ধারণা।

ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ডি কে পন্থের আবার বক্তব্য, কোর ইনফ্লেশন মাথাচাড়া দেওয়ার অর্থ বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া, যা কিনা অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ। কিন্তু অক্টোবরে উৎসবের মরসুমের কারণেও চাহিদা বাড়তে পারে। ফলে এখনই এতে উৎসাহী হওয়ার কিছু নেই। দেখতে হবে আগামী মাসগুলিতেও টানা তা বাড়ে কি না। তা হলে বোঝা যাবে সত্যিই অর্থনীতিতে গতি ফিরছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement