—প্রতীকী চিত্র।
পিছু ছাড়ছে না মূল্যবৃদ্ধি। খাদ্যপণ্যের দাম কী ভাবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে, তা ফের স্পষ্ট হল গৃহস্থের থালি রান্নার খরচ নিয়ে মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের সমীক্ষায়। ওই রিপোর্ট বলছে, নিরামিষ ও আমিষ— দু’ধরনের খাবারের খরচই মে মাসের তুলনায় জুনে বেড়েছে। যার কারণ, চাল, ডাল, আনাজের চড়ে যাওয়া দাম। তবে বছরের তুলনা টানলে আমিষ থালি কিছু স্বস্তি দিয়েছে মাংসের দাম কমায়। কিন্তু আগের বছরের জুনের তুলনায় এ বার নিরামিষ থালির গড় খরচ ১০% বেড়েছে। গত বার ছিল ২৬.৭ টাকা। এ বার হয়েছে ২৯.৪ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মাছ, মাংসের খরচ এমনিতেই বেশি। ফলে স্বল্প বা সাধারণ আয়ের বহু মানুষ রোজ আমিষ খান না। কিন্তু যে ভাত-ডাল-রুটি ছাড়া চলে না, সেগুলিই কী ভাবে মাথাব্যথার কারণ হচ্ছে তা আরও প্রকট ক্রিসিলের ‘রুটি ভাতের দাম’ রিপোর্টে। সেখানে নিরামিষ থালিতে ধরা হয় রুটি, আনাজ (পেঁয়াজ, টোম্যাটো, আলু), ভাত, ডাল, দই, স্যালাড। আমিষে ডালের বদল থাকে মুরগির মাংস। ক্রিসিল বলছে, নানা কারণে বাজারে জোগান কমাতেই গত মাসে আনাজ দামি হয়েছে। চাল-ডালও চড়েছে। তবে মুরগির দাম ১৪% কমায় গত বছরের জুনের ৬০.৫ টাকা থেকে এ বার আমিষ থালির খরচ কমে হয়েছে ৫৮ টাকা। অবশ্য মে-র ৫৫.৯ টাকার তুলনায় বেশি।