—ছবি সংগৃহীত
তামা, অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাতের মতো কাঁচামালের খরচ বেড়েছে রকেটের গতিতে। সেই সঙ্গে চড়া হয়েছে জাহাজে এবং বিমানে পণ্য পরিবহণের খরচ। ফলে আগামী বছর টিভি, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিনের মতো বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দাম প্রায় ১০% বাড়তে পারে বলেই ইঙ্গিত সংশ্লিষ্ট শিল্প সূত্রের। উৎপাদক সংস্থাগুলির দাবি, তার উপরে বিশেষত চিনা পণ্যের আমদানি আটকে যাওয়ায় জোগানে টান পড়েছে টিভি প্যানেলের। ফলে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে সেগুলির দাম। বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল দামি হওয়ায় খরচ বেড়েছে প্লাস্টিকেরও। ফলে টিভি এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্যগুলি কেনার জন্য জানুয়ারি থেকেই সাধারণ মানুষের খরচ বাড়বে।
ভোগ্যপণ্য নির্মাতাদের সংগঠন সিইএএমএ-র হুঁশিয়ারি, করোনার ধাক্কার পরে এই দাম বৃদ্ধি চাহিদা বাড়ার পথটাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আর তার ছাপ পড়তে পারে চলতি অর্থবর্ষের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে।
এলজি, প্যানাসনিক, থমসনের মতো সংস্থা অবশ্য বলছে, টিকে থাকতে গেলে এই দাম বৃদ্ধি অপরিহার্য। প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট-সিইও মণীশ শর্মা বলেন, ‘‘পণ্যের দাম বাড়ার প্রভাব আমাদের তৈরি জিনিসগুলিতে পড়তে পারে। আমার ধারণা জানুয়ারিতে ৬-৭ শতাংশ দাম বাড়বে। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের শেষের দিকে বাড়তে পারে ১০-১১ শতাংশ পর্যন্ত।’’ এলজি ইলেকট্রনিক্স ইন্ডিয়ার ভিপি-হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস বিজয় বাবুর দাবি, ‘‘জানুয়ারি থেকেই ৭-৮ শতাংশ দাম বাড়াচ্ছি টিভি, ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজ়-সহ সমস্ত ভোগ্যপণ্যের।’’ থমসন ও কোডাক অ্যান্ড্রয়েড টিভির দাম বাড়াচ্ছে ২০%।
এই অবস্থায় সোনি ইন্ডিয়ার এমডি সুনীল নায়ারের বার্তা, প্রতি দিন জোগানের পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এই ধোঁয়াশার মধ্যে সব কিছু খতিয়ে দেখে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থা।