—প্রতীকী চিত্র।
নজিরবিহীন উচ্চতায় আগেই উঠেছে সোনা। এ বার সেই পথে রুপোও। শুক্রবার কলকাতার বাজারে এই প্রথম কেজি প্রতি খুচরো রুপো ৭৯,৬০০ টাকায় পৌঁছেছে। রুপোর বার হয়েছে ৭৯,৫০০ টাকা। এমনকি জিএসটি যোগ করে সেগুলি ছাড়িয়েছে ৮০,০০০ টাকার মাইলফলক। খুচরো এবং বার রুপো দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮১,৯৮৮ টাকা এবং ৮১,৮৮৫ টাকা।
গয়না ব্যবসায়ী মধুসূদন কুইলার দাবি, সোনা চড়ে যাওয়ার পরে গয়না কিনতে এসে দামের ছেঁকা খাচ্ছিলেন বহু ক্রেতা। তাঁদের একাংশ রুপোয় সরে গিয়েছিলেন। বিশেষত যাঁরা উৎসব-অনুষ্ঠানে নিজে ব্যবহারের বা উপহার দিতে গয়না কিনতে আসেন। রুপোর বাসন কেনা বেড়েছিল। এ বার রুপো ৮২,০০০ টাকার কাছাকাছি উঠে যাওয়ায় তাঁরা ফের বিপাকে পড়বেন। রুপোর সিঁদুরের কৌটো, শো-পিস, কয়েন, পেন ইত্যাদি কিনতে এসেও অনেকে এখন থতমত খাচ্ছেন বলে দাবি দোকানগুলির।
কলকাতায় ১০ গ্রাম খুচরো সোনা (২৪ ক্যারাট) আগেই ৭০,৬৫০ টাকা ছুঁয়ে নজির গড়েছে। জিএসটি ধরে যা হয়েছিল ৭২,৭৬৯.৫০ টাকা। ফলে সোনার গয়নাও চড়ে যায়। শুক্রবার অবশ্য সোনা ৫০ টাকা কমেছে। বিশেষজ্ঞেরা বার বারই বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চিত পরিবেশে সুরক্ষিত লগ্নি হিসাবে সোনার চাহিদা তো বাড়ছেই। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলিও নিজেদের ভাঁড়ার আরও মজবুত করছে সোনা কিনে। যা চাহিদা বাড়িয়ে তার দামকে ঠেলে তুলছে। শুক্রবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও জানান, বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার সম্প্রসারণের অঙ্গ হিসেবেই আরবিআই সোনার মজুত ভান্ডার গড়ছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, শুধু জানুয়ারিতেই ৮.৭ টন সোনা কিনেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক, যা গত দু’বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি।