—প্রতীকী চিত্র।
ক্লান্তিহীন ভাবে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। নতুন অর্থবর্ষের (২০২৪-২৫) প্রথম দিনেই তা ফের নজির গড়ল এবং পৌঁছে গেল ৭০,০০০ টাকার দোরগোড়ায়। কর যোগ করে সেই মাইলফলক অবশ্য আগেই পেরিয়েছে হলুদ ধাতু। সোমবার কলকাতায় ১০ গ্রাম খুচরো সোনা (২৪ ক্যারাট) এই প্রথম ৬৯,৭৫০ টাকায় উঠেছে। জিএসটি নিয়ে ৭১,৮৪২.৫০ টাকা। ফলে গয়না তৈরির সোনাও চড়েছে। হলমার্ক সোনার গয়না ১০ গ্রাম পিছু ছুঁয়েছে ৬৬,৩৫০ টাকার নজিরবিহীন উচ্চতা। কর নিয়ে ৬৮,৩৪০.৫০ টাকা।
স্বর্ণশিল্প মহলের দাবি, এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীরা। তাঁদের জন্য সুরাহা প্রয়োজন। ন্যাশনাল জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর সমর দে জানান, এই জন্যই কেন্দ্রের কাছে একগুচ্ছ দাবি জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে গয়না কেনা, জিএসটি কমানো বা আমদানি শুল্ক না বাড়ানোর দাবি তো আছেই। এ ছাড়া, ক্রেতা পুরনো গয়না বিক্রি করলে বর্তমান নিয়মে সোনার ব্যবসায়ী তাঁকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা নগদ দিতে পারেন। বাকিটা চেক মারফত দিতে হয়। নগদ দেওয়ার এই ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোরও দাবি করেছি। কারণ, অনেকেই এখন চিকিৎসা বা অন্য জরুরি কারণে বিপদে পড়ে গয়না বিক্রি করতে আসছেন। কিন্তু হাতে বেশি টাকা দিতে পারছি না।’’
সাত দফা দাবি
সোনা কিনতে গেলে দাম ২ লক্ষ টাকা ছাড়ালেই প্যান কার্ড লাগে। তা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হোক।
ঋণ নিয়ে সোনার গয়না কেনার সুবিধা চালু হোক।
গয়না বা সোনা বিক্রিতে দোকান ১০,০০০ টাকার বেশি নগদে দিতে পারে না। তা ১ লক্ষ টাকা হোক।
ক্রেডিট কার্ডে গয়না কেনায় উৎসাহ দিতে মকুব হোক ব্যাঙ্কের কমিশন।
ছোট-মাঝারি সোনা ব্যবসায়ীদের বন্ধকহীন স্বর্ণঋণের সীমা ২ কোটি থেকে ৫ কোটি করা হোক।
সোনার গয়না এবং দামি পাথরে জিএসটি ৩% থেকে কমে হোক ১.২৫%।
প্রত্যাহার করা হোক সোনার মূল আমদানি শুল্ক ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১২.৫% করার সিদ্ধান্ত।