ক্রেতারা পা বাড়াচ্ছেন দোকানের দিকে। ফাইল চিত্র।
বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সাপেক্ষে দাম বেড়েছে ডলারের। তার উপরে আমেরিকায় সুদ আরও বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে ফেডারাল রিজ়ার্ভ। মূলত এই দুইয়ের জেরে সোনা থেকে লগ্নি সরিয়ে ডলার এবং আমেরিকায় বন্ডে ঢালছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বিশ্ব বাজার তো বটেই, ভারতেও গত এক সপ্তাহে অনেকটা দাম কমেছে সোনার। কলকাতায় এই ক’দিনে ১০ গ্রাম পাকা সোনা (২৪ ক্যারাট) নেমেছে ৯০০ টাকা। শনিবার তা ছিল ৫২,৪৫০ টাকা। বাজার মহলের মতে, যাঁদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য গয়না না-কিনলেই নয়, এই সুযোগে তাঁরা পা বাড়াচ্ছেন দোকানের দিকে।
পরিসংখ্যান বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম দিন পনেরো আগেও যেখানে প্রতি আউন্সে ছিল ১৮০৫ ডলার, সেখানে শনিবার তা দাঁড়িয়েছে ১৭৪৮ ডলারে।
অ্যাসোসিয়েশন অব গোল্ড রিফাইনারিজ় অ্যান্ড মিন্টের সেক্রেটারি হর্ষদ অজমেঢ়া বলেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি কমছে অশোধিত তেলের দাম। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা কাটছে। তাই ঝুঁকি নিয়েও ডলার ও বন্ডে লগ্নি বাড়াচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। আমেরিকায় সেপ্টেম্বরের ঋণনীতিতে ফেড ফের সুদ বাড়াবে বলেই ইঙ্গিত। সে ক্ষেত্রে সোনার দাম আরও কমতে পারে।’’ তবে তিনি মনে করাচ্ছেন, অভিজ্ঞতা বলছে সোনার দাম বেশি দিন কম থাকে না।
স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে বলেন, ‘‘দিন দশেক ধরে বাজার চাঙ্গা। ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে।’’ অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আশিস পেথেও জানান, ‘‘জুলাইয়ের চেয়ে গয়নার বিক্রি ১৫% বেড়েছে। আশা, উৎসবে চাহিদা আরও বাড়বে।’’ এ প্রসঙ্গে দুঃসময়ে সোনায় ভরসার কথা মনে করাচ্ছেন ডোমেস্টিক কাউন্সিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিতিন খণ্ডেলওয়াল। তবে চাহিদা প্রাক-করোনার জায়গায় পৌঁছতে সময় লাগবে বলেই ধারণা বেলঘরিয়ার ছোট গয়না ব্যবসায়ী কৌশিক পোদ্দারের।