ব্রেন্ট ক্রুডের দাম পৌঁছে গিয়েছে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৯৫ ডলারে। ফাইল চিত্র।
সেঞ্চুরি থেকে ফারাক আর মাত্র সাড়ে ৫ ডলার!
করোনার তৃতীয় ঢেউ এখন কিছুটা শান্ত। ভারত-সহ গোটা বিশ্বে ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। আর্থিক কাজকর্মে গতি আসায় জ্বালানির চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দরের দৌড় আশঙ্কা বাড়াচ্ছে তার চেয়েও বেশি। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম পৌঁছে গিয়েছে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৯৫ ডলারে। সেই দাম বৃদ্ধির দৌড় বন্ধ না হলে ভারতেও ফের পেট্রল-ডিজ়েলের দর ছুটতে শুরু করবে বলে আশঙ্কা।
ইতিমধ্যেই অশোধিত তেলের দর গত সাত বছরের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৩.৩% বেড়ে হয়েছে ব্যারেল প্রতি ৯৪.৪৪ ডলার। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর ৯৩.১০ ডলার।
মোদী সরকারের মন্ত্রীরা তাঁদের আমলে সর্বোচ্চ স্তরে ওঠা কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক নিয়ে চুপ থেকে ভারতে তেলের চড়া দরের জন্য বরাবর অশোধিত তেলের দামকেই দায়ী করে এসেছেন। বিরোধীদের দাবি, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট পর্ব মিটলেই ফের দামি হবে পেট্রল-ডিজ়েল। সরকারি সূত্রেও এমন ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই মিলেছে।
বিশ্ব জুড়ে তেলের চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত থাকলেও সেই হারে তেলের জোগান বাড়ানোর বার্তা এখনও দেয়নি তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক। সীমিত হারে উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্ব ঘোষণাই কার্যকর করছে তারা। এর মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাতের আবহে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সংশয়ের পারদ চড়ছে। তার জেরে তেলের জোগান ব্যাহত হওয়ারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মহল। মনে করা হচ্ছে, তা অশোধিত তেলের দরকে ঠেলে তুলতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির পূর্বাভাস, এ বছরে বিশ্বে তেলের চাহিদা দিনে ৩২ লক্ষ ব্যারেল বেড়ে সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। সে ক্ষেত্রে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি তেলের জোগান বাড়িয়ে অনিশ্চিত বাজারকে কিছুটা শান্ত করতে পারে বলে মত তাদের।
এ দিকে, চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসির নিট মুনাফা গত বছরের তুলনায় সাত গুণ বেড়েছে। শনিবার সংস্থাটি আর্থিক ফল প্রকাশ করে জানিয়েছে, এ বারে ওই সময়ে ৮৭৬৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে তারা। দ্বিতীয় বার অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড (১.৭৫ টাকা প্রতি শেয়ার) ঘোষণাও করেছে সংস্থাটি।