—ফাইল চিত্র।
এলআইসি-র শেয়ার এই অর্থবর্ষেই (৩১ মার্চের মধ্যে) বাজারে আসবে কি না, এখনও তা নিশ্চিত নয়। তবে সেই কর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি প্রায় শেষ বলে বৃহস্পতিবার জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের লগ্নি ও সরকারি সম্পত্তি পরিচালনা বিভাগের সচিব তরুণ পাণ্ডে। তাঁর দাবি, শেয়ার কেনার জন্য দেশে প্রায় এক কোটি নতুন ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বাকি কাজকর্মের বেশির ভাগটাই সারা। তবে শেষ পর্যন্ত বাজারে প্রথম বার এলআইসি শেয়ার ছাড়া (আইপিও) সম্ভব হবে কি না, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি তিনি। শুধু বলেছেন, সূচক দ্রুত ওঠানামা করছে। বাজারের অবস্থা ভাল করে খতিয়ে দেখেই কবে শেয়ার ছাড়া হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ দিন বণিকসভা মার্চেন্ট চেম্বার আয়োজিত এক ওয়েবিনারে পাণ্ডে জানান, সড়ক ক্ষেত্রের সরকারি সম্পত্তিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে ইতিমধ্যেই ১৭,০০০ কোটি টাকা এসেছে সরকারি কোষাগারে। চলতি অর্থবর্ষে প্রকল্পটির মাধ্যমে ৮৮,০০০ কোটি টাকা আয় করাই কেন্দ্রের লক্ষ্য। এর মধ্যে ৫০,০০০ কোটি খনি ক্ষেত্র থেকে তোলা হবে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, এ ভাবে সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি ক্ষেত্রকে বিলিয়ে দিয়ে দেশের ক্ষতি করা হচ্ছে। পাণ্ডের দাবি, সরকারের সম্পদ বেসরকারি হাতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তুলে দেওয়া হবে। মেয়াদ পেরোলে ফিরিয়ে নেবে সরকার। সরকারি দফতর এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পড়ে থাকা বিভিন্ন জমি-বাড়ি কাজে লাগিয়ে আয়ের এই প্রকল্পে বুধবারই ন্যাশনাল ল্যান্ড মনিটাইজেশন কর্পোরেশন গড়তে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।