—ফাইল চিত্র
আমপানের দুর্ভোগের স্মৃতি মোছেনি এখনও। ঝড়ের দাপটে সে বার বিদ্যুৎ, জল ও টেলিকম— তিন নাগরিক পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছিল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জায়গায় জায়গায়। বিভিন্ন মহলের মধ্যে সমন্বয়ের খামতি সেই সমস্যা প্রকট করে। গতবারের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ বারে প্রস্তুতি আরও আঁটোসাঁটো করার কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। একই পথে হাঁটার কথা জানাল সিইএসসি-ও। তাদের দাবি, পরিষেবা ব্যাহত হলে দ্রুত মেরামতির জন্য কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। থাকবে থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক মোবাইল দল। করোনার কথা মাথায় রেখে হাসপাতাল-নার্সিং হোমের এলাকাগুলিতে পরিষেবা চালু রাখতে আলাদা জোর দেওয়া হচ্ছে।
সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষ জানান, পথে নেমে কাজের জন্য ২৫০০ কর্মীকে তৈরি রাখা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভা এলাকায় যেখানে সংস্থাটির ‘ওভারহেড’ তার গিয়েছে, সেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি করে মোবাইল দল থাকবে। ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’ তারের ক্ষেত্রে প্রতিটি থানা এলাকায় একটি করে। বজবজ, হুগলিতে থানা স্তরে থাকবে দু’টি করে দল। তারা মূলত প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ঘটনাস্থলে যাবে। গত বছর গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কিছু সমন্বয়ের অভাব হয়েছিল। অভিজিৎবাবু জানান, কলকাতা ও অন্য পুরসভাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ আরও মজবুত করা হচ্ছে। মেরামতির সময়ে টেলি সংস্থার তার যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না-হয়, তা-ও নজরে রাখা হবে। সিইএসসি-র ফোন নম্বর হল: ৩৫০১১৯১২, ৪৪০৩১৯১২। হোয়াটসঅ্যাপ— ৭৪৩৯০০১৯১২। রাজ্য বণ্টন সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর— ৮৯০০৭৯৩১০০।