প্রতীকী ছবি।
গ্রীষ্মে গরম আছে। কিন্তু টানা সেই দাবদাহ নেই। তাপমাত্রার পারদ চড়তে না চড়তেই পরিবেশ অনেকটা বদলে যাচ্ছে কালবৈশাখী ঝড় বা এক পশলা বৃষ্টিতে। ফলে গ্রীষ্মের শুরু থেকেই এ বার বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম ছিল। তার উপর বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড়-বৃষ্টির জন্য রাজ্য জুড়ে (সিইএসসি অঞ্চল বাদে) চাহিদা এক ধাক্কায় নেমে ৪,৬০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াল। যেখানে মধ্য মে-র ভরা গরমে তা অন্তত ৬,৫০০ মেগাওয়াট হওয়া উচিত। এটাই এখন চিন্তার কারণ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে।
চাহিদা কম থাকায় এ দিন পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে মাত্র ২,৬০২ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে হয়েছে। অন্যান্য বার যেখানে অন্তত ৩,০০০ মেগাওয়াটের বেশি করতে হয়।
এ বছর বৈশাখের শুরু থেকেই ঘনঘন কালবৈশাখী হওয়ায় বণ্টন এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বারবার ওঠানামা করেছে। এপ্রিলে দু-পাঁচ দিন তা ৬,০০০ মেগাওয়াটের উপরে গেলেও, নীচেই থেকেছে বেশির ভাগ সময়। আর মে মাসের প্রথম ১৫ দিন তো চাহিদা এক দিনের জন্যও ৬০০০ মেগাওয়াট পেরোয়নি। বিদ্যুৎ কর্তাদের অনেকেই বলছেন, মে মাসে চাহিদার এই নিম্নমুখী রেখা তাঁরা বহু বছর দেখেননি। বণ্টন সংস্থার এক কর্তা জানান এপ্রিলে বহু গ্রাহকের বিল গত বারের থেকে কম এসেছে।
গ্রীষ্মে দেশে প্রতিটি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ব্যবসা সাধারণত ভাল হয়। কারণ তাপপ্রবাহ বাড়লে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। ঘরে ঘরে অনেক বেশি করে চলে এয়ার কন্ডিশনার। তাপমাত্রা সহ্যের মধ্যে থেকে যাওয়ায় গৃহস্থের ঘরে এসি চালানো এ বার অন্য বছরের তুলনায় বেশ কম। এক কর্তার কথায়, ‘‘এসি ছাড়াও গ্রাহক হয়তো নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন। কিন্তু ব্যবসা খুইয়ে ঘুম উড়েছে আমাদের।’’