সম্প্রতি ডাক বিভাগ ডাকঘর সেভিংস অ্যাকাউন্টে গ্রাহকদের ন্যূনতম জমা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করেছে।
তার পর থেকেই প্রতিবাদে সরব কর্মীরা। তাঁদের ইউনিয়নের অভিযোগ, ন্যূনতম জমা একলপ্তে দশ গুণ বাড়ানোয় ভুগবেন গ্রামের গ্রাহকেরা। ওই সিদ্ধান্ত ফেরাতে কেন্দ্রীয় ডাক সচিবের কাছে আর্জি জানিয়েছে তারা।
ন্যাশনাল ফেডারেশন অব পোস্টাল এমপ্লয়িজ় (এনএফপিই) অনুমোদিত অল ইন্ডিয়া পোস্টাল এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন গ্রুপ ‘সি’-র দাবি, দেশে ১৩ কোটি ডাকঘর সেভিংস অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকার কম আছে। সংগঠনের নেতারা বলছেন, এই সব গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমার অঙ্ক বাড়াতে সার্কলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে ডাক বিভাগ। বলেছে, এটা না-করলে ২৮০০ কোটি ক্ষতি হবে। কিন্তু গ্রামে অনেকের ৫০০ টাকা জমানোর ক্ষমতা না-ও থাকতে পারে। ফলে সেগুলি বন্ধ হবে। যা আমজনতার জন্য এই স্বল্প সঞ্চয়ের প্রকল্পের মূল লক্ষ্যের বিরোধী, বলছে ইউনিয়ন।
এনএফপিই এবং ওই ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক জনার্দন মজুমদারের বক্তব্য, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম জমার শর্ত না থাকায়, গ্রাহকেরা সে দিকে ঝুঁকলে আরও সঙ্কটে পড়বে ডাকঘর সেভিংস অ্যাকাউন্ট পরিষেবা।
যদিও ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কলের দাবি, তাদের আওতায় এ রকম ৩.৩০ কোটি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৬২ লক্ষ অ্যাকাউন্টে ৫০০ টাকার কম আছে। যার অর্থ, এটা শুধু গ্রাহকের আর্থিক ক্ষমতা না-থাকার বিষয় নয়, বরং বহু অ্যাকাউন্টে দীর্ঘদিন লেনদেন বন্ধ। তারা জানিয়েছে, গ্রাহকদের সচেতন করতে সময় দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ৩১ মার্চের পরে ন্যূনতম জমা না-থাকলে অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০ টাকা কাটা হবে। এখনই অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা টাকা কাটা হবে না।