প্রতীকী ছবি।
দেশবাসীর সুস্বাস্থ্য প্রশ্নের মুখে। এর জন্য দায়ী চিকিৎসার চড়া খরচ এবং বহু মানুষের স্বাস্থ্য বিমা না থাকা— বুধবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে উদ্বেগের এই ছবি।
সমীক্ষাটি স্টার্ট আপ সংস্থা প্রিস্টেন কেয়ার-এর। তাতে বলা হয়েছে, কোভিডের পরে চিকিৎসার খরচ বিপুল বেড়েছে। তাই বিমা না থাকলে বহু মানুষ প্রয়োজন পড়লেও চট করে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন না। পিছিয়ে দিচ্ছেন জরুরি অস্ত্রোপচার বা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে খরচ সাপেক্ষ চিকিৎসা। ফলে দেশের বড় অংশের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
স্বাস্থ্য বিমা সংক্রান্ত আরও নানা সমস্যার কথা উঠে এসেছে সমীক্ষায়। বলা হয়েছে, ভারতে এই বিমার হার খুবই কম। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ ক্লেম-এর টাকা দেরিতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। অনেকের আপত্তি কাগজপত্র দাখিলের জটিল প্রক্রিয়া নিয়ে। বিমার পুরো টাকা না পাওয়া নিয়ে হতাশ বহু বিমাকারী। আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, নেচারোপ্যাথি কিংবা সিদ্ধার মতো বিকল্প চিকিৎসাতে বিমার সুবিধা দাবি করেছেন অনেকে।
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থা সূত্রের দাবি, আসল সমস্যা চড়া প্রিমিয়াম। অনেকে চাইলেও পলিসি কিনতে পারছেন না। অনেকে পুরনো পলিসি আর নবীকরণ করছেন না। সব থেকে বেশি সমস্যায় বয়স্করা। তাঁদের প্রিমিয়াম বেড়েছে বেশি। ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস প্রধান অবশ্য বলেন, ‘‘প্রিমিয়ামের হার বৃদ্ধি অযৌক্তিক নয়। তবে কোভিডের কারণে বহু মানুষ চাকরি হারানোয় বা অনেকের বেতন কমায় অনেকেই পলিসি কিনতে বা নবীকরণ করাতে পারেননি।’’ সংস্থাটির আর এক প্রাক্তন কর্তা এন বাঞ্চুর-এর দাবি, ‘‘দেশবাসীর সুস্বাস্থ্য জিডিপি বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ, তাতে উৎপাদন বাড়ে। তাই কারও চিকিৎসা যাতে না আটকায় সেটা দেখতে হবে সরকারকে।’’ তাঁর মতে, সরকার চাইছে স্বাস্থ্য বিমার প্রসার ঘটাতে। কিন্তু এর প্রিমিয়ামে ১৮% জিএসটি। এতে ছাড় পাওয়া জরুরি।