Coronavirus

হারাতে পারে ৩৪ কোটি কাজ

বুধবার এক রিপোর্টে আইএলও বলছে, ইতিমধ্যেই করোনার ধাক্কায় এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে শ্রম সময় নষ্ট হয়েছে ১৪%। যা ৪০ কোটি পূর্ণ সময়ের চাকরির সমান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৬:০২
Share:

প্রতীকী ছবি

বছরের শেষ দিকে করোনার ধাক্কা ফের প্রবল হলে ও তাতে আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হলে, বিশ্বে ১১.৯% কাজের সময় নষ্ট হবে, আশঙ্কা রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও)। যা ৩৪ কোটি পূর্ণ সময়ের কর্মীর কাজ হারানোর সামিল। করোনা ও আবহাওয়া বদলের জেরে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও ১০ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে চলে যাবেন বলেও মনে করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাই দরিদ্রদের উন্নতির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের পূর্ণ সময়ের প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি।

Advertisement

বুধবার এক রিপোর্টে আইএলও বলছে, ইতিমধ্যেই করোনার ধাক্কায় এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে শ্রম সময় নষ্ট হয়েছে ১৪%। যা ৪০ কোটি পূর্ণ সময়ের চাকরির সমান। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সংক্রমণে রাশ টানা না-গেলে অবস্থা প্রায় সে রকমই থাকবে। তবে আইএলও-র মতে, যদি করোনাকে আয়ত্তে রাখা যায় এবং খুব দ্রুত আর্থিক কর্মকাণ্ড ঘুরিয়ে দাঁড় করানো ও চাকরির সুযোগ তৈরি রা যায়, সে ক্ষেত্রে কাজের সময় নষ্ট হবে অনেকটাই কম, ১.২% (৩.৪ কোটি কাজ হারানোর সমান)। আর বর্তমান পূর্বাভাস অনুসারে সব কিছু চললে, সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ৪.৯% (১৪ কোটি)। যদিও আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে সংক্রমণের যে রকম প্রকোপ দেখা যাচ্ছে, তাতে অবস্থা কতটা এবং কত দ্রুত ফিরবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে তারা।

সেই সঙ্গে শ্রম সংস্থার মতে, থাকা-খাওয়া, বিক্রিবাটা, উৎপাদনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে অতিমারির জের পড়েছে বেশি। আর ওই সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের চেয়ে বেশি মহিলা যুক্ত (প্রায় ৫১ কোটি)।

Advertisement

তার উপরে পরিচারিকা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে নানা কাজের ক্ষেত্রেও বিপুল সংখ্যক মহিলা কাজ করেন। করোনার জেরে যে সমস্ত কাজ প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে এর জেরে কাজের বাজারে বৈপরিত্য আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা আইএলও-র।

আরও পড়ুন: জিএসটি নিয়ে উদ্বেগ বহাল

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement