হলদিয়ায় নেপালের কনসাল জেনারেল। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
ভারত-নেপাল পর্যটন এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করার জন্য এক ধাপ এগোল দুই দেশ।
শনিবার নেপালের কনসাল জেনারেল একনারায়ণ আরিয়াল হলদিয়ায় বাণিজ্য এবং পর্যটন ক্ষেত্রে দুই দেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করলেন। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ হলদিয়া পৌঁছন কনসাল জেনারেল। পুরসভার সভাকক্ষে পুর পারিষদ-সহ সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। এরপর হাতিবেড়িয়াতে সতীশচন্দ্র সামন্ত ট্রেড সেন্টারে অন্য একটি বৈঠকে এ অংশ নেন তিনি।
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে ইন্ডিয়ান অয়েল, মিৎসুবিশি, হলদিয়া এনার্জি লিমিটেডের মত একাধিক শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি, স্থানীয় পর্যটন সংস্থাগুলিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে হলদিয়ার সঙ্গে নেপালের ভ্রমণ সংস্থার পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আগে জেলার বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার মাধ্যমে নেপালে ঘুরতে গেলে যে পরিমাণ খরচ হতো, সেই মূল্য যাতে কম হয়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, নেপালের পর্যটকেরা যাতে হলদিয়া এবং সংলগ্ন এলাকা ঘুরতে এলে বিভিন্ন সুবিধা পান, সে দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।
হলদিয়াতে বিনিয়োগের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নেপালের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, বন্দর শহরে একটি কন্টেনার হাব বানাতে উদ্যোগী হয়েছে নেপালের শিল্পপতিরা। এ ব্যাপারে পুরসভার দাবি, হলদিয়াতে বিনিয়োগে কোনোও রকম অসুবিধে হবে না। হাব গড়তে প্রয়োজনীয় জমি দেবে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ (এইচডিএ)। তবে এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন মিললে হাব গড়তে কোনও বাধা থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
কনসাল জেনারেল বলেন, ‘‘প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্র হলদিয়া পুরসভার সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পন্ন করতে পারব।’’
অন্য দিকে, নেপালে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন’। সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর চন্দ্রকান্ত তিওয়ারি বলেন, ‘‘পাইপ লাইনের মাধ্যমে নেপালে রান্নার গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম রফতানির ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি প্রকল্পের রূপায়ণে কোনও অসুবিধে হবে না।’’
এ দিন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক বলেন, ‘‘জাপান থেকে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছিল। আগে তাদের সঙ্গে প্রযুক্তি গত লেনদেনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবার হলদিয়াতে নেপাল বাণিজ্যিক এবং ভ্রমণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখানোয় আমরা অত্যন্ত খুশি। নতুন বিনিয়োগ এলে শিল্প শহরে চেহারা আরও বদলে যাবে।’’