সমস্যা পিছু ছাড়ছে না গাড়ি শিল্পের। জানুয়ারিতেও দেশে যাত্রী গাড়ি বিক্রি কমেছে ৬.২%। গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম জানিয়েছে, ওই সময়ে তা বিক্রি হয়েছে ২,৬২,৭১৪টি। গত মাস থেকে গাড়ির দাম বাড়িয়েছে বেশ কিছু সংস্থা, যার জের পড়েছে বিক্রিতে। পাশাপাশি, চাহিদায় ভাটার টানও বহাল। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের ধাক্কায় চিন থেকে যন্ত্রাংশ আসা নিয়েও আশঙ্কা।
সোমবার সিয়াম জানিয়েছে, গত মাসেও সামগ্রিক ভাবে গাড়ি বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে। দু’চাকার বিক্রি কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি। বাণিজ্যিক গাড়ির প্রায় ১৪%। তবে সিয়ামের প্রেসিডেন্ট রাজন ওয়াধেরা বলেন, কেন্দ্রের পরিকাঠামো শিল্পে লগ্নি পরিকল্পনা ও গ্রামীণ অর্থনীতি ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর উদ্যোগ আগামী দিনে চাহিদা ফেরাতে সাহায্য করবে বলে তাঁদের আশা।
তবে কেন্দ্রের বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও উৎসবের মরসুমের পরে চাহিদায় যে গতি আসেনি তা মানছেন সিয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল রাজেশ মেনন। তিনি জানান, বিক্রির গতি থমকালেও, সামগ্রিক ভাবে শিল্পের সঙ্কট বহাল। অবশ্য ভবিষ্যতে ছবিটা বদলানো নিয়ে আশাবাদী তিনিও। মেনন বলেন, অটো-এক্সপোতে যে রকম সাড়া মিলেছে, তাতে ক্রেতারা শোরুমে ফিরবেন বলে আশা তাঁর।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে চিনে কারখানা বন্ধ রেখেছে অধিকাংশ সংস্থা। ফলে সমস্যা হতে পারে গাড়ির যন্ত্রাংশ পেতে। মেননের দাবি, বিষয়টি চিন্তার। তবে এখনই এর প্রভাব নিয়ে কথা বলার সময় আসেনি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রভাব পড়বে, এটা নিশ্চিত। কিন্তু তা কী ধরনের ও কতটা, সেটা আগামী কয়েক দিনে বোঝা যাবে।’’ চিনে নববর্ষের ছুটি কাটিয়ে সোমবার থেকে কাজে যোগ দেওয়ার কথা কর্মীদের। তার পরেই বিভিন্ন মহল থেকে তথ্য পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানান মেনন। তাঁর দাবি, সব তথ্য পেলে ঠিক করা হবে যে, ১ এপ্রিল থেকে দেশে বিএস-৬ মাপকাঠির গাড়ি চালুর সময়সীমা পিছোনোর আর্জি সুপ্রিম কোর্টে জানানো হবে কি না।