আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিতে কারচুপি করে শেয়ার দর বৃদ্ধির অভিযোগের তদন্তে সেবি-র কোনও খামতি নেই বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি। ফাইল ছবি।
আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিতে কারচুপি করে শেয়ার দর বৃদ্ধির অভিযোগের তদন্তে সেবি-র কোনও খামতি নেই বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি। তার পরে বহাল রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি এ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছে। বিরোধী দলটির দাবি, রিপোর্টকে আদানিদেরকে ক্লিন চিট বলা চলে না।
আদানির সংস্থায় কারচুপি করে শেয়ার দর বৃদ্ধি ও কর ফাঁকির অভিযোগ করেছিল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। কমিটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেবি-র নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে প্রমাণ পায়নি বাজার নিয়ন্ত্রকটি। তারা যথাসাধ্য তদন্ত করছে। কিন্তু এখনও সন্দেহকে যুক্তি দিয়ে মামলায় পরিণত করতে পারেনি। প্রায় এক ডজন বিদেশি লগ্নিকারীর মাধ্যমে ৪২টি সংস্থার টাকা সেগুলিতে ঢুকেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত তাদের পরিচয় জানা যায়নি। কমিটির মতে, পরিচয় সামনে আসা জরুরি। কারণ, সেবি-র ধারণা এরা আসলে সংস্থাগুলির প্রোমোটারদের খাড়া করা লগ্নিকারী।
তবে কমিটি বলেছে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের আগে আগাম লেনদেনের বাজারে গোষ্ঠীর সংস্থার শেয়ার বেচা হয়। রিপোর্টের ফলে শেয়ার দর পড়লে কম দামে কিনে মুনাফা করেছে এক শ্রেণির লগ্নিকারী।
এর পরেই বিজেপির অমিত মালবীয়ের মন্তব্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাহুলের বক্তৃতার লেখকদের নতুন কোনও ‘মিথ্যা’ তুলে আনতে হবে। কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, সীমিত বিষয় নিয়ে কমিটিকে তদন্ত করতে বলা হয়েছিল। বিদেশি লগ্নিকারীদের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে আদানি গোষ্ঠীতে। তাই যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে তদন্ত জরুরি।