গত বছর ফলন কমায় কাঁচা পাটের চূড়ান্ত অভাব দেখা দিয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
কাঁচা পাটের ফলনে ঘাটতি রোখা থেকে সার্বিক ভাবে তার জোগানের সমস্যা এড়াতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করেছে জুট কর্পোরেশন (জেসিআই)। সোমবার তাদের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এমডি অজয় কুমার জলি জানান, এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পাট পর্ষদের মাধ্যমে তৈরি বিশেষ পোর্টালে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে চাষের ত্রুটি খতিয়ে দেখার মতো বিষয়। এতে সেই ত্রুটি সংশোধন করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ করতে পারবেন চাষি এবং জুট কর্পোরেশন। তা ছাড়া, আগামী পাট মরসুম থেকে অনলাইনে তার নিলাম (ই-অকশন) চালু করা হবে। এতে পাট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আসবে।
গত বছর ফলন কমায় কাঁচা পাটের চূড়ান্ত অভাব দেখা দিয়েছিল। চাহিদা ও জোগানের ঘাটতির জেরে বেআইনি মজুতদারি ও কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে। জলি বলেন, “প্রাকৃতিক কারণে ফলন মার খেলে কিছু করার নেই। কিন্তু অন্য কোনও কারণে উৎপাদন বা জোগানের সমস্যা এড়ানো এবং অসৎ উপায়ে পাট বিক্রির রাস্তা বন্ধ করাই লক্ষ্য। এ জন্য পাট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষ হাত মিলিয়েছে। রাজ্যকেও ওই উদ্যোগে শামিল করছি।’’
জেসিআই-এর কাছে চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্তর প্রস্তাব পাটের বিশেষ মজুত ভান্ডার চালু করা। তাঁর মতে, ভাল ফলনের সময়ে বাড়তি পাট কিনে ভান্ডার তৈরি হলে জোগানের ঘাটতির সময়ে তা কাজে লাগবে। যদিও পাট কেনার সময়ে দামের সামঞ্জস্য বজায় রাখায় সমস্যার জন্য তা চালু করায় জটিলতা রয়েছে, জানান জেসিআই-এর এক কর্তা।