—প্রতীকী চিত্র।
ভারতের নেট বাজারে ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ৮৪০০ কোটি টাকা) লগ্নির কথা জানিয়েছে অ্যামাজ়ন। তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তাঁর মতে, দেশের আর্থিক উন্নতিতে সহায়তা নয়, বরং নিজেদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েই এই পদক্ষেপ করেছে আমেরিকার ই-কমার্স সংস্থাটি।
বুধবার ভারতে কর্মসংস্থান এবং ক্রেতা কল্যাণের উপরে ই-কমার্সের প্রভাব নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেন গয়াল। যদিও সেখানে কর্মসংস্থানের উপরে নেট বাজারের প্রভাব নিয়ে বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে ই-কমার্সের ব্যবসার কৌশলের তীব্র সমালোচনা করে পীযূষ বলেন, অ্যামাজ়ন যে এ দেশে লোকসান করেছে, তার মূল কারণ বিপুল ছাড় দিয়ে কম দামে ক্রেতা টানার চেষ্টা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কয়েক কোটি খুচরো বিক্রেতা। তাঁর অভিযোগ, নিয়মের ফাঁক গলে অন্য সংস্থাকে পরিষেবা দেওয়ার নাম করে সরাসরি ক্রেতাদেরই পণ্য বেচে ই-কমার্স সংস্থাগুলি। সেটা কী ভাবে সম্ভব, তা ভেবে দেখা জরুরি।
সামগ্রিক ভাবে দেশে ই-কমার্সের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার বলেও দাবি করেছেন গয়াল। ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশের কথা তুলে ধরে বলেছেন, ওই সমস্ত দেশে ই-কমার্সের ধাক্কায় ছোট ব্যবসা পাট গোটাতে বসেছে। ভারতেও তার দ্রুত সম্প্রসারণ সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে। শুধু নেটে পণ্য বিক্রিই নয়। খাবার, ওষুধ বিক্রি নিয়েও আপত্তির কথা জানিয়েছেন গয়াল। যদিও মন্ত্রীর দাবি, “ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধের কথা বলছি না। তারা থাকবে। প্রযুক্তি তার ভূমিকা পালন করবেই। ...তবে পুরো বিষয়টি এগোতে হবে সুশৃঙ্খল ভাবে। সামাজিক সমস্যা তৈরি না করে।’’
সংবাদ সংস্থা