পীযূষ গয়াল। —ফাইল চিত্র।
গত মাসে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। হয়েছে চার মাসের সর্বোচ্চ। এই অবস্থায় চাল, গম এবং চিনির রফতানির উপরে চাপানো কড়াকড়ি প্রত্যাহার করার যে কোনও সম্ভাবনা নেই, তা স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। মূল্যবৃদ্ধির মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের উপরে প্রভাব ফেলতে পারে, এমন যে কোনও সিদ্ধান্তের আগেই এখন পাঁচ বার ভাবনাচিন্তা করবে সরকার।
গত এক-দেড় বছর ধরে দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম চড়া। সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে খাদ্যপণ্য এবং আনাজপাতির দর। যা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসায় কেন্দ্রও এই বিষয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে। দেশের বাজারে জোগান বাড়িয়ে খাদ্যপণ্যের দামকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে একের পর এক পদক্ষেপ করে চলেছে তারা। ২০২২ সালের মে মাসে গমের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চাপায় কেন্দ্র। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে তা চাপে বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চালের উপরে। গত অক্টোবরে বন্ধ করা হয় চিনি রফতানি। এমনকি, টোম্যাটো রফতানিতেও সম্প্রতি মোটা শুল্ক চাপানো হয়েছে। তাতে মহারাষ্ট্রের টোম্যাটো চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হলেও অনমনীয়ই রয়েছে কেন্দ্র। আজ বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ‘‘চাল, গম এবং চিনি রফতানিতে যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো রয়েছে তা প্রত্যাহারের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনও প্রস্তাব নেই। তবে গম এবং চিনি আমদানিও করবে না ভারত। এমন কোনও পরিকল্পনা বা প্রয়োজনীয়তা নেই।’