ফাইল চিত্র।
দেশে তৈরি পণ্য কেনার জন্য ক্রেতাদের সচেতন করতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আবেদন জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। সরাসরি চিনের কথা না-বললেও, ওই দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের বিক্রিতে লাগাম পরানোর বার্তাই স্পষ্ট হয়েছে মন্ত্রীর কথায়। রবিবার ন্যাশনাল ট্রেডার্স ডে উপলক্ষে এক কর্মসূচিতে তিনি জানান, ‘বন্ধু ভাবাপন্ন নয়’ এমন দেশ থেকে কোনও ব্যবসায়ী নিম্নমানের পণ্য আমদানি করলে তাঁকেও চিহ্নিত করা জরুরি।
লাদাখে সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকেই দেশে চিনা পণ্য বিরোধী প্রচার তীব্র হয়েছে। কেন্দ্রও বিভিন্ন পণ্যের আমদানিতে চাপিয়েছে বিধিনিষেধ। তবে ‘আত্মনির্ভরতা’কে গুরুত্ব দিয়েও বাণিজ্যে দেওয়াল তোলার সেই নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শিল্প মহল। কারণ গাড়ি, ওষুধ থেকে বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামালের জন্য চিনা সংস্থার উপরে নির্ভরশীল অনেকে। তারা বলেছে, এর বিকল্প রাতারাতি পাওয়া অসম্ভব। ফলে ধাক্কা খেতে পারে উৎপাদন। অতিমারির আবহে এমনিতেই চাপে থাকা শিল্পের বিপদ বাড়তে পারে। সম্প্রতি নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগড়িয়াও বলেন, আত্মনির্ভরতার অর্থ এই নয় যে, দেশেই সব পণ্য তৈরি করতে হবে।
যদিও গয়াল এ দিন জানান, দেশীয় সংস্থার সুবিধার জন্য টিভি, টেলিফোন, ক্রীড়া সরঞ্জাম, টায়ার, মোমবাতি-সহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানিতে বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে। দেশীয় পণ্য ব্যবহার করে অন্তত ১০ লক্ষ কোটি টাকার আমদানি কমানো যায়। প্রধানমন্ত্রীর ‘ভোকাল ফর লোকাল’ স্লোগানকে জনপ্রিয় করারও ডাক দেন তিনি।
অন্য দিকে, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৭৮ বর্ষপূর্তির দিনেই চিনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে ‘চিন ভারত ছাড়ো’ এবং ‘ভারতীয় সামান, হমারা অভিমান’ প্রচার শুরু করেছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিএআইটি। দেশের ৬০০টি জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা।