পীযূষের নিশানায় হিদেসি ই-কমার্স সংস্থা।
মাইক্রোব্লগিং সাইট থেকে এ বার আমেরিকার ই-কমার্স সংস্থার সঙ্গে সঙ্ঘাত গড়াল ভারতের। নাম না করে অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট অধীনস্থ ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন পণ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কেন্দ্র্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তাঁর অভিযোগ, শিকারি দৃষ্টি নিয়ে ভারতে ব্যবসা করছে আমেরিকার ই-কমার্স সংস্থাগুলি। ইচ্ছে করে কম দামে জিনিস বিক্রি করছে। তাতে দেশের অভ্যন্তরীণ ছোট ব্যবসাগুলি মার খাচ্ছে।
শনিবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে ভারতে ব্যবসা করতে আসা আমেরিকার ই-কমার্স সংস্থাগুলির তীব্র সমালোচনা করেন গয়াল। তিনি বলেন, ‘‘একাধিক ই-কমার্স সংস্থা ভারতে ব্যবসা করতে এসেছে। কিন্তু নানা ভাবে এ দেশের আইনকে অবজ্ঞা করেছে তারা। এ নিয়ে একাধিক বার সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা হয়েছে, বিশেষত আমেরিকার সংস্থাগুলি। কিন্তু বড্ড দম্ভ ওদের।’’
বিদেশি ই-কমার্স সংস্থাগুলি কোন আইন লঙ্ঘন করেছেন, তা যদিও খোলসা করেননি গয়াল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি যখন ধুঁকছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করছে, সেই সময়ই বিদেশি ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গয়াল।
অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের ব্যবসায়িক নীতি নিয়ে আগেও তদন্তের দাবি উঠেছে। বিষয়টি আদালতে ঝুলছে। তার মধ্যেই কেন্দ্রের নয়া ই-কমার্স নীতি নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে, যাতে যখন তখন বড় রকমের ছাড় দেওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ টানা হয়েছে। অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্ট যদিও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ খারিজ করেছে, কিন্তু গয়ালের মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি তারা।