বেসরকারি ক্ষেত্রের ধাঁচেই এ বার সরকারি কর্মীদের পেনশন তহবিলের ৫০% পর্যন্ত অর্থ শেয়ার বাজারে লগ্নির দাবি জানাল এই ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাদের যুক্তি, শেয়ার বাজারে দীর্ঘ মেয়াদে টাকা খাটালে তার থেকে বাড়তি ফায়দা তোলার সুযোগ সব সময়েই বেশি।
পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা পিএফআরডিএ-র পক্ষ থেকে বুধবার এই দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি আগেই কেন্দ্রের কাছে দাখিল করা হয়েছে। পিএফআরডিএ চেয়ারম্যান হেমন্ত কনট্রাক্টর বলেন, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আরও বেশি করে শেয়ারে লগ্নির সুযোগ দেওয়া উচিত। বেসরকারি ক্ষেত্রের মতোই তা ৫০ শতাংশে নিয়ে যেতে কেন্দ্রের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে সরকারি কর্মীদের পেনশন তহবিলের মাত্র ১৫% শেয়ার বাজারে ঢালার অনুমতি রয়েছে।
শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি এন বাজপেয়ীর নেতৃত্বে পিএফআরডিএ যে-বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছিল, তারাই শেয়ার বাজারে আরও বেশি করে সরকারি পেনশন তহবিল লগ্নির সুপারিশ করে।
পিএফআরডিএ-র আওতায় এখন রয়েছে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএস। এই প্রকল্পে সরকারি কর্মী ছাড়া বেসরকারি ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদেরও লগ্নির সুযোগ রয়েছে। দু’ধরনের কর্মীর ক্ষেত্রেই শেয়ারে ৫০% পর্যন্ত তহবিল লগ্নির পক্ষপাতী নিয়ন্ত্রক।
পেনশন তহবিল পরিচালনার ভারও বেসরকারি হাতে দেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্র। ২০০৪ সালে এনপিএস চালু হওয়ার পর থেকে পিএফআরডিএ ওই তহবিলের উপর ১০ শতাংশের বেশি আয়ের পথ দেখিয়েছে। অন্য দিকে, কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড মূলত সরকারি বন্ডে লগ্নি করে সুদ দিতে পেরেছে ৮.৫%। পিএফআরডিএ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল পরিচালনা করে। তার মধ্যে ৮০ হাজার কোটিই আসে ৬ কোটি সরকারি কর্মীর কাছ থেকে। ফলে তহবিলের অর্ধেক শেয়ার বাজারে এলে তা সেনসেক্সকে চাঙ্গা করতেও ইন্ধন জোগাবে। তবে ভারতে শেয়ার বাজার সম্পর্কে আস্থা কিছুটা তলানিতে থাকা এ ক্ষেত্রে এখনও বাধা বলে মত বিশেষজ্ঞদের।