প্রতীকী ছবি।
বাজারে সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ছে। অথচ প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) পেনশনভোগীরা ন্যূনতম হাজার টাকাই পাচ্ছেন। কর্মী ইউনিয়নগুলির ক্ষোভ, শুধু রান্নার গ্যাস কিনতেই ১০০০ টাকার বেশি লাগে। ফলে যাঁরা ওই টাকা পেনশন পান, তাঁদের কাছে বিষয়টি প্রহসন। এ বারও পিএফের অছি পরিষদের (সিবিটি) বৈঠকে সেই অঙ্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেননি শ্রমমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ যাদব।
কর্মী প্রতিনিধিরা তিন বছর ধরে পিএফ কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রের কাছে ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছেন। মঙ্গলবার ইউনিয়নের নেতারা বলেন, সিবিটি-র বৈঠক হলেই কল-কারাখানার শ্রমিক-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীরা মুখিয়ে থাকেন টাকা বাড়ানোর খবর শুনতে। কিন্তু সোমবারও যাদব শুধু বলেছেন, প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে তৈরি বিশেষ কমিটি সুপারিশ করলে পরের বৈঠকে তা জানানো হতে পারে। তবে তাঁর আশ্বাস, কেন্দ্রের লক্ষ্য ৫ বছরের মধ্যে পিএফের আওতায় ১০ কোটি কর্মীকে আনা। এখন তা ৬.৫ কোটি।
সিবিটিতে এআইইউটিইউসি-র শ্রমিক প্রতিনিধি সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, “২০১৯ থেকে একই কথা বলছে কেন্দ্র। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা ৩০০০ টাকা পান, আর পিএফ সদস্যদের অনেকেই মাত্র ১০০০। প্রতি বৈঠকেই শ্রমমন্ত্রী বিশেষ কমিটির দোহাই দিয়ে দাবি এড়ান। সোমবার এর প্রতিবাদ করেছি।’’ তাঁর দাবি, কমিটি আগেও তৈরি হয়েছিল। যারা পেনশন বৃদ্ধির সুপারিশ করে। কিন্তু তা কার্যকর না করে কেন্দ্র ফের নতুন কমিটি গড়ে। ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন,“কেন্দ্র উদাসীন। শুধু ন্যূনতম নয়, পিএফের সাধারণ পেনশনও দীর্ঘকাল বাড়েনি। অথচ পণ্যের দাম চড়েছে।’’
পেনশনের টাকা তোলার নিয়ম অবশ্য কিছুটা শিথিল করেছে সিবিটি। এখন ১০ বছর টাকা জমার আগে চাকরি ছাড়লে পেনশন মেলে না। তবে অন্তত এক বছর পেনশন তহবিলে টাকা দিলে নগদে তা ফেরত পাওয়া যায়। ওই মেয়াদ এক বছর থেকে কমে ছ’মাস হয়েছে। এ ছাড়া, অনেক সদস্য পুরনো ফ্যামিলি পেনশন প্রকল্প থেকে ১৯৯৫ সালে চালু পেনশন প্রকল্পে ঢুকেছেন। দু’টি প্রকল্প মিলেই পেনশন হিসাব করার কর্মকাল নির্ধারিত হয়। আগে ৩৪ বছর পর্যন্ত কর্মকাল হিসাব হত। তা ৪৩ বছর হয়েছে। ফলে অনেকেরই পেনশন বাড়বে।