প্রতীকী ছবি
এর আগে শর্তসাপেক্ষে প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বরের (ইউএএন) সঙ্গে বাধ্যতামূলক ভাবে আধার যুক্ত করার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। তবে সেই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সব কর্মী এবং বাদবাকি রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু শিল্পের (বিড়ি তৈরি, আবাসন-সহ নির্মাণ এবং চা, কফি, পাট, কাজু বাদাম, এলাচ ইত্যাদি প্ল্যান্টেশন শিল্প) কর্মীদের। এ বার পিএফের সঙ্গে আধার সংযুক্তির মেয়াদ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, একটি মামলায় হাই কোর্ট এই নির্দেশ দিলেও, তা প্রযোজ্য হবে সারা দেশের সব কর্মীদের জন্যই। আর এর আগের কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে যাঁরা বাড়তি সময় পেয়েছেন, তারা অবশ্য বছরের শেষ দিন পর্যন্তই সেই সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে জুনে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছিল যে, পিএফের যে সব সদস্য ৩১ অগস্টের মধ্যে তাঁদের ইউএএন-এর সঙ্গে আধার কার্ড জুড়বেন না, পিএফ খাতে তাঁদের বেতন থেকে কাটা এবং নিয়োগকারীর দেয় টাকা পিএফ দফতরের অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে না। পিএফের সমস্ত পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হবেন তাঁরা। ওই সময়ে চাকরি ছাড়লে পিএফের টাকা তুলতে পারবেন না।
এর বিরুদ্ধে করা মামলায় অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রিজ়ের দাবি ছিল, এই নিয়মে সমস্যায় পড়ছে বহু সংস্থা। বহু ক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি থেকে কাজের জায়গায় ফেরার পরে নথি দিতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছেন। এই মামলাতেই ওই সময় বাড়ানোর সঙ্গে হাই কোর্ট জানিয়েছে, পিএফের সঙ্গে আধার যোগ নিয়ে অভিযোগ শুনতে গ্রিভান্স রিড্রেসাল অফিসার নিয়োগ করবে পিএফের অছি পরিষদ (ইপিএফও)। পিএফের টাকা জমায় যাতে দেরি না-হয়, সে জন্য এই অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে আবেদনকারী সংস্থা বা অন্য কোনও নিয়োগকারী। পাশাপাশি, যাঁদের পিএফ-আধার যোগ হয়েছে, আধার কর্তৃপক্ষের যাচাইয়ের অপেক্ষায় না-থেকেই তাঁদের পিএফের টাকা জমা দিতে পারবে সংস্থাগুলি। ১ থেকে ১৫ জুনের মধ্যে প্রযুক্তিগত সমস্যায় কোনও নিয়োগকারী ওই টাকা জমা দিতে না-পেরে থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।