ভ্রাম্যমাণ পেট্রল পাম্প তৈরিতে নীতিগত ছাড়পত্র দিল পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক।
যে কোনও জায়গায়। যখন তখন। মাত্র দু’ঘণ্টাতেই তৈরি পেট্রল পাম্প।
পাহাড়ি এলাকা, প্রত্যন্ত অঞ্চল অথবা শহরের মধ্যে যেখানে বেশি জায়গা নেই, সেখানেই এ বার পোর্টেবল বা ভ্রাম্যমাণ পেট্রল পাম্প তৈরিতে নীতিগত ছাড়পত্র দিল পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। তেল বিপণন সংস্থাগুলি প্রয়োজন মতো সিদ্ধান্ত নেবে, কোথায় কোথায় বসানো হবে সেগুলি।
ভ্রাম্যমাণ পাম্পে চিরাচরিত পদ্ধতিতে তেল মজুত করার জন্য মাটির নীচে ভাঁড়ার তৈরি করতে হবে না। বরং পেট্রল-ডিজেল বিক্রি হবে মাটির উপরে ইস্পাতের তৈরি বড় কন্টেনার থেকে। কর্মী না থাকলে, ক্রেতা নিজেই পোর্টেবল পেট্রল পাম্প থেকে জ্বালানি ভরে নিতে পারবেন গাড়িতে। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে মিটিয়ে দিতে পারবেন দাম।
ব্যবস্থাটি কী?
• ট্রাকে করে বয়ে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় বসানো হবে ইস্পাতের বড় কন্টেনার।
• তার তেল ধারণ ক্ষমতা ১০ থেকে ৩৫ হাজার লিটার।
• তাতেই পেট্রল-ডিজেল ভরে দেবে তেল সংস্থাগুলি।
• এ ভাবে মাত্র দু’ঘণ্টায় তৈরি করা যাবে এই ভ্রাম্যমাণ পাম্প।
• ক্রেতা নিজেই গাড়িতে জ্বালানি ভরতে পারবেন।
• দাম মেটানো যাবে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে।
• কন্টেনারটি প্রয়োজনে উঠিয়ে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।
• পাহাড়ি এলাকা, প্রত্যন্ত অঞ্চল বা শহরের মধ্যে যেখানে জায়গা অপ্রতুল, সেখানে বসানোই লক্ষ্য।
সুরক্ষা কতটা?
• ইস্পাতের কন্টেনারগুলির বাইরে থাকবে আরও দু’টি স্তরের ইস্পাতের দেওয়াল।
• বাইরের ধাক্কা থেকে বাঁচাতে চারপাশে বসবে লোহার বেড়া।
• কেন্দ্রীয় সরকারের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজেশনের দাবি, সাধারণ বিস্ফোরণ বা গোলাগুলিতে ক্ষতি হবে না, এমন পাম্প তৈরিরই ছাড়পত্র দেবে তারা।
এই পাম্পের সুরক্ষা ব্যবস্থাও পাকাপোক্ত করতে চায় কেন্দ্র। সে ব্যাপারে সম্প্রতি জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তেল মন্ত্রক বলেছে, কন্টেনারগুলির বাইরে দু’টি স্তরে ইস্পাতের দেওয়াল থাকবে। বাইরে থেকে যন্ত্রটিতে যাতে কোনও ধাক্কা না লাগে, সে জন্য বসানোর কথা লোহার বেড়াও।
মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘পাহাড়ি এলাকা বা শহরের প্রয়োজন মাফিক ১০ থেকে ৩৫ হাজার লিটার তেল ধরে, এমন ক্ষমতার কন্টেনার তৈরি হতে পারে। সেটি ট্রাকে করে নিয়ে গিয়ে দু’ঘণ্টাতেই তৈরি করে ফেলা যাবে পাম্প। প্রয়োজনে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়াও যেতে পারে।’’
পোর্টেবল পাম্প তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই চেক সংস্থা পেট্রোকার্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এ দেশের অলিন্জ গোষ্ঠী। প্রাথমিক ভাবে চারটি রাজ্যে চেক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তা তৈরির কারখানা হবে।