প্রতীকী ছবি।
সকলের আশঙ্কা মিলিয়েই তিন দিন অপরিবর্তিত থাকার পরে আজ, শনিবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার পিছু পেট্রলের দাম আরও ২৩ পয়সা বেড়ে গেল। ফলে তা কিনতে হবে ৯১.৩৫ টাকায়। ১৫ পয়সা বেড়ে এক লিটার ডিজেলের দর পড়ছে ৮৪.৩৫ টাকা।
দেশের বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি করেছে পেট্রল। কোথাও তা সেই দিকে হাঁটছে। ডিজেলের দরেও আগুন। ফলে ক্ষোভে ফুটছে গোটা দেশ। তোপের মুখেও উৎপাদন শুল্ক ছাঁটার আর্জিতে কান দিচ্ছে না মোদী সরকার। শুক্রবার এক সময়ে বিজেপির অন্যতম শরিক শিবসেনার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে সুরাহা দিতে কেন কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক ছাঁটছে না, বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নের মুখে নির্মলা বলেছিলেন, এমন প্রসঙ্গে তিনি ধর্মসঙ্কটে পড়েন। শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউতের কটাক্ষ, নির্মলা এ ভাবে দায় এড়াতে চাইছেন। সমস্যার সমাধান করতে না পারলে অর্থমন্ত্রীর পদে থাকার কোনও অধিকার নেই। তাঁর দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এমন পরিস্থিতিতে (জ্বালানির দর চড়া থাকাকালীন) পালিয়ে না-গিয়ে তার মোকাবিলা করেছেন।
দেশবাসীর অসন্তোষ বাড়িয়েছে তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মন্তব্যও। এ দিন প্রধান ফের আমজনতার যন্ত্রণার দায় চাপিয়েছেন বিশ্ব বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম ও জ্বালানির শীতকালীন চাহিদা বৃদ্ধির উপরে। বলেছেন, শীত চলে যাচ্ছে। এ বার তেলের দাম নাকি একটু কমবে।
নির্মলাকে বিঁধে সঞ্জয় বলেন, ‘‘যদি তেলের দর কমানো এখন ধর্মসঙ্কট বলে মনে হয়, তা হলে ধর্মের রাজনীতি করবেন না। কেন্দ্রের প্রাথমিক দায়িত্ব মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে নাগরিককে রক্ষা করা। ব্যবসায়ীদের মতো লাভ-ক্ষতির অঙ্ক কষা নয়।’’ সম্প্রতি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ইঙ্গিত দিয়েছেন, তেলের দর মূল্যবৃদ্ধির হারকে ঠেলে তুলতে পারে।