—ফাইল টিত্র
অতিমারির ধাক্কা কিছুটা সামলে দেশের আর্থিক কার্যকলাপ শুরু হলেও মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁঝ যে আপাতত দূর হওয়ার নয়, সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে লিটারপিছু পেট্রলের দর পৌঁছে গেল ৮৫ টাকার দোরগোড়ায়। প্রায় একই গতিতে এগোচ্ছে ডিজেলও। আর এই দুই পেট্রোপণ্য, বিশেষ করে ডিজেলের দাম বাড়ার অর্থ হল, পরিবহণের খরচও বাড়া। যা শীতের মরসুমেও খাদ্যপণ্য ও আনাজের দাম কমায় বাধা তৈরি করতে পারে।
আজ, রবিবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটারে পেট্রল ৮৪.৯০ টাকায় বিক্রি হবে। শনিবারের চেয়ে ২৭ পয়সা বেশি। ডিজেল ২৯ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৭.১৮ টাকা। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, ২০১৮-এর ৪ অক্টোবর শহরে ৮৫.৮০ টাকা হয়েছিল পেট্রল। যা রেকর্ড। সে বছরই ১৬ ও ১৭ অক্টোবর ডিজেলের দাম ছিল ৭৭.৫৪ টাকা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এ বছরই কি দুই পেট্রোপণ্য সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলবে?
২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে পেট্রলের দাম একই ছিল। ২০ তারিখ থেকে তা বাড়তে থাকে। তখন থেকে রবিবার পর্যন্ত কলকাতায় দাম ২.৩১ টাকা বেড়েছে। পৌঁছেছে ৮৫ টাকার দোরগোড়ায়। অন্য দিকে, ২ অক্টোবর থেকে কয়েক দিন থমকে থাকার পর ওই ২০ নভেম্বরেই বাড়ে ডিজেলের দাম। তার পর থেকে ওই পেট্রোপণ্যের দর ৩.১৯ টাকা বেড়েছে।
তেলের দৌড়
• ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পেট্রলের দাম বদলায়নি। ডিজেল পাল্টায়নি ২ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর।
• কলকাতায় ২০ নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত লিটারে পেট্রলের দাম বেড়েছে ২.৩১ টাকা।
• ডিজেল ৩.১৯ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার টিকার আশায় অক্টোবরের শেষ থেকে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ৩৪% বেড়েছে। ইউরোপ এবং আমেরিকার কিছু অঞ্চলে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ সত্ত্বেও। ফলে দেশে আরও কয়েক দিন দুই পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির ধাক্কা সামলাতে হতে পারে।