প্রতীকী ছবি।
বাজারে পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে আগেই। মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হল, আশঙ্কা অমূলক নয়। মূল্যবৃদ্ধির কামড়ে আরও ক্ষত-বিক্ষত হতে পারে মানুষের জীবন। কারণ মার্চে খুচরো বাজারে তা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৯৫% ছুঁয়েছে। অর্থাৎ, পৌঁছেছে ৭ শতাংশের কাছে। এর জন্য দায়ী মূলত খাদ্যপণ্যের চড়া দাম। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তা-ও দেশে তেলের দাম বাড়ছে মার্চের শেষ থেকে (২২)। এপ্রিল জুড়ে জ্বালানি চড়লে মূল্যবৃদ্ধি আরও বাড়তে পারে।
হতাশ করেছে শিল্পও। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খনন এবং বিদ্যুতের হাত ধরে ফেব্রুয়ারিতে শিল্পোৎপাদন বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই হার মাত্র ১.৭%। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এক বছর আগে তা ৩.২% সঙ্কুচিত হয়েছিল। এত নিচু ভিতে পা রেখেও এত কম বৃদ্ধি আর্থিক কর্মকাণ্ডের শ্লথ গতিকেই ইঙ্গিত করছে। বিশেষত কর্মসংস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধিও যেখানে মাত্র ০.৮%। যা গত বছর ৩.৪% সঙ্কুচিত হয়েছিল। ভোগ্যপণ্য ক্ষেত্র এ বারও সঙ্কোচনে।
ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতে, আশঙ্কাকেও ছাপিয়েছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। এমন চললে আরবিআই সুদ বাড়াতে পারে জুন থেকেই। এপ্রিলের হিসাবে জ্বালানির চড়া দামের প্রভাব আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা নাইট ফ্র্যাঙ্কের গবেষণা বিভাগের ডিরেক্টর বিবেক রথীর।