রাজ্যের কিছু জেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক দফতরে অফিসারদের ঢুকতে বাধা দেন ধর্মঘটীরা। পুলিশের সাহায্যে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। আজ, বুধবার ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় ধর্মঘট হওয়ার কথা থাকলেও তা তুলে নেওয়া হয়েছে।
ব্যাঙ্কগুলিতে বিশেষ ভাবে ধাক্কা খেয়েছে চেক ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দ্বিতীয় তথা শেষ দিনেও রাজ্যে ব্যাহত হল ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরের কাজ। তামিলনাড়ু, কেরল-সহ আরও কয়েকটি রাজ্যে পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। এটিএম পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে সোমবারের চেয়ে বেশি। ফলে গত শনিবার থেকে শুরু করে টানা চার দিন পরিষেবা না-পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকেরা।
তবে স্টেট ব্যাঙ্কের বেঙ্গল সার্কলের সব শাখায় কাজ হয়েছে বলে দাবি স্টেট ব্যাঙ্ক স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গৌতম নিয়োগী ও স্টেট ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়ের।
এ দিন ব্যাঙ্কগুলিতে বিশেষ ভাবে ধাক্কা খেয়েছে চেক ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া। ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠন এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর জানান, দেশে ২০ লক্ষ চেক ক্লিয়ারেন্স আটকে, যেগুলির মোট মূল্য ১৮,০০০ কোটি টাকা। রাজ্যে ১০,০০০ এটিএমের মধ্যে প্রায় ৮০০০-এর ঝাঁপ খোলেনি। তিনি বলেন, ‘‘এটিএমের কর্মীরা আমাদের ইউনিয়নের সদস্য। তাঁরা কাজে যোগ দেননি।’’ তা ছাড়া বেশ কয়েকটি এটিএমে টাকা ছিল না বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের। রাজ্যের কিছু জেলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক দফতরে অফিসারদের ঢুকতে বাধা দেন ধর্মঘটীরা। পুলিশের সাহায্যে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। আজ, বুধবার ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় ধর্মঘট হওয়ার কথা থাকলেও তা তুলে নেওয়া হয়েছে।
ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ সার্কলে (পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান-নিকোবর ও সিকিম) কর্মীদের উপস্থিতি ছিল ১৮.২৫%। ১৫% ডাকঘরে কাজ হয়েছে।