ফাইল চিত্র
অতিমারির আবহে কর্মীদের আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও গত বছর বেশ কিছু সংস্থা তাঁদের পুজোর বোনাস দেয়নি বলে অভিযোগ। এ বছর তার পুনরাবৃত্তি চাইছে না রাজ্য। তাই বোনাস দেওয়ার প্রশ্নে সংস্থাগুলিকে ‘নমনীয়’ হওয়ার বার্তা দিয়েছে শ্রম দফতর। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, ওই সব সংস্থা এ বার যেন পুজোর আগেই দু’বছরের বোনাস একসঙ্গে দেয়।
গত বুধবার শ্রম দফতরের সচিবের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিল্প ক্ষেত্রে ‘শান্তি’ ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বোনাস দেওয়া প্রয়োজন। সরকার ‘উদ্বেগের’ সঙ্গে লক্ষ্য করেছে, কোভিড পরিস্থিতি সত্ত্বেও গত বছর তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বহু কর্মী, চটকলের শ্রমিক, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী এবং হোটেল ও রেস্তরাঁর কর্মীদের একাংশ বোনাস পাননি। রাজ্য চায়, এ বার এই ধরনের সব সংস্থার কর্মীরা যেন উৎসবের প্রাপ্য একসঙ্গে পান।
একই সঙ্গে শ্রম দফতর বলেছে, সংস্থাগুলি গত বছর যে-হারে বোনাস দিয়েছিল, এ বারও ন্যূনতম হার যেন তা-ই হয়। এ ক্ষেত্রে ‘মতপার্থক্য’ হলে শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে আপসে মেটানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে সংগঠনগুলির সাহায্য চেয়েছে রাজ্য। তবে সেই সঙ্গে এটাও মনে করানো হয়েছে যে, বোনাস নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হলেও উৎপাদনে যেন তার প্রভাব না-পড়ে।
বোনাসের আওতায় পড়েন না, এমন কর্মীদের ‘এক্সগ্রাসিয়া’ দেওয়ার কথাও বলেছে শ্রম দফতর। ক্যাজ়ুয়াল এবং ঠিকাদারদের অধীন যে-সব কর্মী বছরে অন্তত ৩০ দিন কাজ করেছেন, তাঁদেরও বোনাস দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে শ্রম দফতর। সরকারের তরফে অধিগৃহীত সংস্থাগুলির কাছেও পুজোর বোনাস দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের বড় অংশ বোনাসের আওতায় পড়েন না। বলা হয়েছে, তাঁরাও যাতে বঞ্চিত না-হন।