বাগডোগরা বিমানবন্দর।—ফাইল চিত্র।
গন্তব্যের তালিকায় বাড়ল আরও একটি নাম। সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চ থেকেই বাগডোগরার সঙ্গে বিমানে জুড়ছে বিহারের পটনা। উত্তরবঙ্গ জুড়ে থাকা হিন্দিভাষী বাসিন্দা এবং বৌদ্ধ পর্যটন সার্কিটের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ। অনেক আগে থেকেই বাগডোগরার সঙ্গে জুড়ে ছিল কলকাতা, দিল্লি ও গুয়াহাটি। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, হায়দরাবাদ, আহমদাবাদ এবং ডিব্রুগড়েও বিমানে সংযোগ রয়েছে বাগডোগরার সঙ্গে। এছাড়া একটি চেন্নাইগামী রাতের বিমানও চালু হতে চলেছে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে ৫ মার্চ থেকে পটনা-বাগডোগরা সরাসরি বিমান চালু করতে চলেছে একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা। ঘণ্টাখানেকের উড়ানের বিমানটি সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে পটনা থেকে ছেড়ে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বাগডোগরা পৌঁছবে। এরপরে ১০টা ২৫ মিনিটে বাগডোগরা থেকে বিমানটি রওনা হয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় পটনায় পৌঁছবে। এই প্রথম বিহারের সঙ্গে বিমানে বাগডোগরার যোগাযোগ তৈরি হতে চলেছে। এ ছাড়া সন্ধের পরে সরাসরি চেন্নাই যাওয়ার একটি বিমানও চালু করছে বিমান সংস্থাটি।
সন্ধের পরে চেন্নাইগামী বিমান চালু হওয়ার খবরে খুশি উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নানা প্রান্ত থেকে চিকিৎসা, পড়াশোনা বা নানা কাজে চেন্নাই যান প্রচুর লোকজন। এতদিন সকালে বা দুপুরে বিমান ধরতে হতো তাদের। তার জন্য আগের দিন শিলিগুড়ি এসে থাকতে হতো অনেককে। সন্ধের পরে বিমান থাকলে তা আর প্রয়োজন হবে না। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে ২০ ফেব্রুয়ারি বাগডোগরা থেকে চেন্নাইগামী রাতের বিমান চালু হতে চলেছে। ওই বিমানটির সময়সূচি যা রাখা হয়েছে তাতে দূরের জেলা থেকে সকালে রওনা হলেও ওই দিনই রাতে বিমানটি ধরতে পারবেন যাত্রীরা। বিমানবন্দরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে চেন্নাই থেকে রওনা হয়ে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে বাগডোগরা আসবে। তারপরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে আবার রওনা হয়ে রাত ৯টা নাগাদ চেন্নাইয়ে পৌঁছবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণি পি বলেছেন, ‘‘বাগডোগরা বিমানবন্দরকে ঘিরে বিভিন্ন গন্তব্যের চাহিদা বেড়েই চলছে। পুরনো টার্মিনালের মধ্যেই যতটা সম্ভব বিমানসংস্থাগুলি নতুন গন্তব্যের বিমান চালাচ্ছে। বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ হয়ে গেলে, আরও গন্তব্য বাগডোগরার সঙ্গে জুড়ে যাবে।’’
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি তো বটেই উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই লাগোয়া বিহারের বহু বাসিন্দা ব্যবসা, চাকরি বা পড়াশুনোর জন্য দীর্ঘ দিন ধরে থাকেন। এতদিন রেল, বাসই ছিল তাঁদের যোগাযোগের মাধ্যম। এ বার বিমানের সঙ্গে পটনা জুড়ে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভাল এবং দ্রুত হবে। এ ছাড়াও পর্যটনের বৌদ্ধ সার্কিটকে ঘিরে বাগডোগরার সঙ্গে পটনার যোগাযোগের দাবি ছিল। বিশেষ করে বিদেশের একটি বড় অংশের পর্যটকেরা বুদ্ধগয়া, বারাণসী, সিকিম, দার্জিলিং এবং নেপালের লুম্বিনীতে নিয়মিত আসেন।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এআইআই) এক অফিসার জানান, গত এক বছর ধরে বাগডোগরার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন শহরের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। আগামী দিনে রাজস্থান, কেরল, গোয়ার মতো এলাকাও সরাসরি জুড়ে যাবে বলে আশা।